ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মের ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২ জুলাই ২০১৬

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মের ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু

যুক্তরাজ্যে মার্গারেট থ্যাচারের পর ‘দ্বিতীয় নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী’ হতে বৃহস্পতিবার প্রচার শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। তিনি বলেন, ‘আমার পথ খুবই সাধারণ: আমি টেরেসা মে এবং আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট উপযুক্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেক্সিট মানে ব্রেক্সিট।’ কনজারভেটিভ দলের এই নেত্রী সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ৭০ এমপির সমর্থন পেয়েছেন। এছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইলে’রও সমর্থন পেয়েছেন টেরেসা মে। সর্বশেষ টেরেসা মেকে সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন ও প্যাট্রিক ম্যাকলাফলিন। এর আগেই অবশ্য তাকে সমর্থন দেন অপর তিন ব্রিটিশ মন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং, জাস্টিন গ্রিনিং ও ডেভিড মানডেল। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসির। এরই মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচারাভিযানে নিজের প্রথম ভাষণ দিয়েছেন মাইকেল গোভ। সাবেক এই কলাম লেখক কনজারভেটিভ নেতা বৃহস্পতিবার নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। মাইকেল গোভের প্রার্থিতা ঘোষণা অনেকটাই আকস্মিক। জানা গেছে, ব্রেক্সিট আন্দোলনকারী বরিস জনসনের সমর্থন পাচ্ছেন এই কনজারভিটভ নেতা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা স্টিফেন ক্রাব, আন্ড্রিয়া লিডসম ও লিয়াম ফক্স। বিবিসি জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঁচ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পার্লামেন্টের ৩২৯ কনজারভেটিভ এমপির মধ্যে প্রচার চালাবেন। পরে প্রথম ধাপের ভোট হবে। প্রতি ধাপে সর্বনিম্ন ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বাদ পড়বেন। এভাবে সর্বশেষ দুজন প্রার্থী টিকবেন। এর পর বড় পরিসরে কনজারভেটিভ দলের মধ্যে ওই দুই প্রার্থীর ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কনজারভেটিভ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার গণভোটে ব্রেক্সিটের (যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে না থাকা) জয়ের পর, ইইউ থাকার পক্ষে আন্দোলনকারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ব্রেক্সিট আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখা কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নিজের অনিচ্ছার কথা বলেন জনসন। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও দেশটির ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে নাটকীয়ভাবে নিজেকে সরিয়ে নেন লন্ডনের সাবেক এই মেয়র বরিস জনসন। জনসন সরে দাঁড়ানোর ফলে কনজারভেটিভ দলের নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় এখন আছেন ক্যামেরন সরকারের বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। এছাড়া এ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন কর্ম ও পেনশন-বিষয়কমন্ত্রী স্টিফেন ক্র্যাব, শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগ্যান, মন্ত্রী আন্দ্রিয়া লিডসম ও সাবেক মন্ত্রী লিয়াম ফক্সও। আগামী অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া ক্যামেরন ১০ বছর ধরে কনজারভেটিভ দলের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদে রয়েছেন ২০১০ সালের মে মাস থেকে। ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটিশ জনগণের রায়ের পর তিনি বলেছেন, ইইউ থেকে তার দেশের বিচ্ছেদ ঘটানোর প্রক্রিয়া নিয়ে জোটের সঙ্গে সমঝোতার দায়িত্ব একজন নতুন নেতার নেয়া প্রয়োজন।
×