স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল কয়েক দফা তৎবির লবিংএর মাধ্যমে পদবী টিকিয়ে রাখলেও এবার আর চেয়ার রক্ষার কোন আলামত খুঁজে পাচ্ছেন না। দুর্নীতির তদন্তে আসা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা মেয়রের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। ফলে এবার ফেঁসে যেতে পারেন মেয়র কামাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, বিভিন্ন স্বাক্ষ্য প্রমান ও বাস্তবিক আলামতে প্রাথমিক তদন্তে মেয়র কামালের বিরুদ্ধে ৮০ ভাগ অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে। কামালের দূর্নীতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, মূলত কর্পোরেশনের উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্ধকৃত মোটা অংকের টাকা নানা প্রক্রিয়ায় আত্মসাত করাটাই তার দূর্নীতির প্রধান চিত্র। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে দরপত্র আহবান, কাজ বন্টন ও পদোন্নতি প্রদানে সীমাহীন দূর্নীতি করার বাস্তবিক প্রমানও মিলেছে তদন্ত টিমের কাছে। ঈদের পর পরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এরপরই ব্যবস্থা নিবে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির ওই সদস্য বলেন, দূর্নীতিকে প্রশয় কিংবা ছাড় না দেয়ার সরকারের দৃঢ় মানুষিকতার প্রতিফলনে দেশের একাধিক সিটি মেয়র যেসব অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন সেসব দিক পর্যালোচনা করলে বিসিসির মেয়র কামালের দূর্নীতির পাল্লা বরখাস্ত হওয়া মেয়রদের চেয়ে অনেক ভারি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথমার্থে মেয়র কামালের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে বরিশালে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত দল।