ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুখোশ কিনব

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৯ এপ্রিল ২০১৬

মুখোশ কিনব

নববর্ষ উপলক্ষে আমাদের স্কুল ছুটি। আব্বু-আম্মুর অফিসও ছুটি। তাই এবার নববর্ষে আমরা গ্রামের বাড়ি যাব। আমাদের গ্রামে প্রত্যেক বছর বৈশাখী মেলা হয়। স্কুলের মাঠে প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে নাগরদোলায় চড়তে। বন্ধুদের নিয়ে নাগরদোলায় চড়ব। মুখোশ কিনব। তালের পাখা, বাঁশের তৈরি বাঁশি, মাটির তৈরি বিভিন্ন রকম তৈজসপত্র, বেতের তৈরি পাটি ইত্যাদি মেলায় বিক্রি করে দোকানিরা। মেলা প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়। সেখানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি হয়। আব্বু আমার জন্য নতুন জামা কিনেছে। বৈশাখের প্রথম দিন এই নতুন জামা পরে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াব। ঝিলিমিলির বন্ধুদের নববর্ষের শুভেচ্ছা। রাজিব হাসান গবর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ৯ম শ্রেণী বাঁশি কিনব পহেলা বৈশাখ মানে খুশীর দিন, এইটা আমাকে বাবা বলেছে। স্কুল বন্ধ থাকে, তাই পহেলা বৈশাখে অনেক মজা করবো। অনেক জায়গায় মেলা হয়। মজার খাবার পাওয়া যায়। আমি পহেলা বৈশাখে লাল জামা পড়বো। বাশি কিনবো আর নানা রকম খেলনা কিনবো। আমি মা-বাবার সাথে ঘুরতে যাবো। আমার বন্ধু জারিফ, আনজুম, মাসসিদ, তাহমিদও বেড়াতে যাবে। আমরা সবাই লাল পাঞ্জাবি পড়বো। আমাদের বাসার নীচে মেলা হবে। সেখানে অনেক খেলনা থাকবে। ফুচকাও পাওয়া যাবে। অনেক মানুষ মেলায় আসবে। কিন্তু গরীব মানুষ নাকি আসতে পারে না। বাবা বলেছে, তাদের নাকি টাকা নেই। তাহলে কি ওরা খেলনা কিনতে পারে না? অনুভব অভিলাষ জামান সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেজি ওয়ান, মোহাম্মদপুর পুতুল নাচ দেখব বাঙালীর আনন্দমুখর দিনগুলোর মধ্যে পহেলা বৈশাখ একটি বিশেষ দিন। নববর্ষের আনন্দটাই অন্যরকম। নববর্ষ উপলক্ষে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাব। সেখানে প্রতিবছরই মেলা হয়। মেলায় মাটির পুতুল, কাপড়ের পুতুল, বাতাসা, পিঠা ইত্যাদি বিক্রি হয়। আমি ২টি পুতুল কিনব। আর মেলায় পুতুল নাচও হয়। আমরা সেখানে পুতুলনাচ দেখব। আমার বন্ধুদের নাগরদোলায় চড়ার খুব শখ। তাই নাগরদোলায়ও চড়ব। ঝিলিমিলির বন্ধুদের জানাই নবর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শায়না আহমেদ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ৭ম শ্রেণী রেলগাড়িতে চড়ব নববর্ষ উপলক্ষে আব্বু-আম্মু আমাকে নতুন ২টি জামা কিনে দিয়েছে। নববর্ষে নতুন জামা পড়ে আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে আমার মামার সঙ্গে শিশুপার্কে যাব। রেলগাড়ি, উড়ন্ত গাড়ি, সিøপার, চড়কা, নাগরদোলায় চড়ব। আইসক্রিম খাব। খুব মজা হবে এবার নববর্ষে। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আকিব চৌধুরী সেন্টপলস মিশন স্কুল, ৬ষ্ঠ শ্রেণী নববর্ষের আহ্বান সুখের গান গেয়ে উড়ছে পাখিরা এক ঝাঁক। নতুন সুর নিয়ে এসেছে পহেলা বৈশাখ। অতীত দিনের দুঃখের ভেলা ভেসে যাক আজ। নতুন দিনের রং ভাসিয়ে বিদায় ঋতুরাজ। খোপায় ফুল, হাতে চুড়ি, রঙ্গিন শাড়ি পরনে, বাংলার রমণী সেজেছে এ সাজ নববর্ষ বরণে। বাতাসা-মুড়ি, পান্তা-ইলিশ খাই আজ মাটির সানকিতে বাঙালির মন আজো ভরে আছে বাংলার ঐতিহ্যেতে। নতুন সাজে, নতুন রূপে উচ্ছ্বাসিত চিত্তে নববর্ষ বরণ করছি নব সুরের সঙ্গীতে। কালের গর্ভে অস্ত গেল আরো একটি বছর, নতুন সূর্যের আলোয় হলো সব গ্লানি পর। ঘরের কোণে জমে থাকা কষ্ট ও অভিমান মুছে যাক সব, জন্ম নিক স্বপ্নবিলাসী প্রাণ। কর্ণযুগলে ভেসে আসে নতুন দিনের গান, সুখী হোক সকলে, নববর্ষের রইল এই আহ্বান। সাদিয়া তাবাসসুম বৃষ্টি জামালপুর গভ:গার্লস হাইস্কুল, জামালপুর
×