ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২২ মার্চ ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

বৃহস্পতিবার ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী। দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সকালে জনকণ্ঠ ভবনে আসার সময় মহাখালীতে ব্যানার চোখে পড়ল দিনভর শিশুদের পুষ্টিসেবা প্রদান সংক্রান্ত। শিশু দিবস প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ প্রজন্মের কয়েকজন তরুণের শ্রদ্ধানিবেদনের বিষয়টি ফেসবুক থেকে তুলে ধরছি। প্রথমেই নারীর কথা। তিনি লিখেছেন: বাঙালীর প্রতিটি নিশ্বাসে ফোটে/ একটি অবিনশ্বর রক্তকমল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই তরুণ লিখেছেন: ১. বংগবন্ধুর জন্মদিন একটি বিশেষ এবং ঐশ্বরিক ঘটনা। বংগবন্ধুর জন্মদিনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জন্ম হয়। জয় বাংলা। ২. যদি তুমি না জন্মাতে তবে কি আমরা একটা দেশ, একটা পতাকা, একটা জাতীয় সংগীত পেতাম? বাংগালীর সব পাওয়া তোমার জন্য ...। পেশায় চিকিৎসক এক নারী জাতীয় শিশু দিবসের বিষয়টি মাথায় রেখে করণীয় সম্পর্কে লিখছেন : “ক) প্রথমেই একজন বাচ্চাকে সত্য কথা বলা শিখাতে হবে। যে সত্য কথা বলবে সে অন্যায় করলেও তা সীমাবদ্ধতার মাঝেই থাকবে। বাচ্চাকে সত্য কথা বলা শিখানোর আগে আপনাকে সত্য কথা বলার মহানুভবতা ওই বাচ্চাকে দেখাতে হবে। নাহলে যতই চেষ্টা করেন সুফল আসবে না। খ) একদম ছোট থেকেই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগানোর পরিবেশ তৈরি করতে হবে পরিবার থেকেই। বাচ্চারা সবসময় অনুকরণীয়। গ) শিশুদেরকে অন্য শিশুদের সাথে খাবার, খেলনা, বিভিন্ন ভাগাভাগি করতে শিখাতে হবে। অন্যকে সাহায্য করতে শিখাতে হবে। এতে ওরা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে শিখবে।...” বলা দরকার ঈদের মতো তিনদিনের ছুটি পেয়ে ঢাকা অনেকটা নির্ভার হয়ে উঠেছে। কত মানুষ যে ঢাকা ছাড়লেন! যারা ঢাকায় আছেন তারাও ছুটির আমেজে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি পাওয়া আনন্দময় হয়ে উঠেছে। অবশ্য সংবাদপত্রের মতো কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের কোন ছুটি নেই! বাঁচাতে হবে লেক ঢাকার নদীগুলোকে আমরা মেরে ফেলছি। বাঁচানোর শেষ চেষ্টাটাও করছি না। এখন পড়েছি রাজধানীর হৃৎপি-সম লেকগুলো নিয়ে। ধানম-ি লেকের নাভিশ্বাস উঠেছে ইতিমধ্যে আমাদের অপরিণামদর্শিতার কারণে। রাজধানী ঢাকার ভেতরে বুকভরা নিশ্বাস নেয়া এবং চিত্তবিনোদনের অন্যতম স্থান এই লেক। ভোরে ও সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসচেতন নারী পুরুষের হাঁটাহাঁটি আর শরীরচর্চা চলে এখানে। অথচ গাছপালা বেষ্টিত ছায়াঢাকা পরিবেশে লেকের এক প্রান্তে দেখা যায় পয়ঃনিষ্কাশনের কয়েকটি লাইন। যেখান থেকে দেখা যায় ময়লা পানি লেকে প্রবেশ করছে। আর এতে দূষিত হচ্ছে লেকের স্বচ্ছ পানি। শুধুই কী ময়লা পানি? লেকের রবীন্দ্র সরোবরের অংশে পানিতে নানা ধরনের আবর্জনাও ভাসতে দেখা যায়। এমনকি ফেনসিডিলের বোতলও। বসার স্থানগুলোর আশপাশে পলিথিন, ঠোঙ্গা পড়ে ময়লা হয়ে আছে। লেকের পানিতেও এসব ময়লা-আবর্জনা গিয়ে পড়ে। তবে শুধু রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠানের দর্শকই নয়, লেকের পাড়ে বিভিন্ন অংশে থাকা বড় ফাস্ট ফুডের দোকানের বিভিন্ন বোতলসহ খাবারের উচ্ছিষ্টাংশও লেকে ফেলা হয়। এর অবসান জরুরী। যানজট কমার লক্ষণ নেই! সোমবার মানেই কি অবধারিতভাবে দুঃসহ যানজট? পরপর কয়েকটি সোমবার প্রত্যক্ষ করে এমন ধারণা হয়। রাত বারোটায়ও দেখি উত্তরা এলাকার প্রধান সড়কে যানজট লেগে আছে! আশঙ্কা করি, দুই দশকে দ্বিগুণ হবে যানজটের তীব্রতা: যানবাহনের গতি নামবে অর্ধেকে। আগামী ২০ বছরে ঢাকার জনসংখ্যা প্রায় ৬৪ শতাংশ বাড়বে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে যানবাহনের চাহিদা ও সংখ্যা। নানা কাজে নগরবাসীর দৈনিক যাতায়াত (ট্রিপ) প্রায় ৭১ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু গণপরিবহন ব্যবস্থায় নজর না দেয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতা বাড়বে বলেও দুশ্চিন্তা হয়। এর ফলস্বরূপ তখন ঢাকার যানজটের তীব্রতা হবে দ্বিগুণ এবং যানবাহনের গতি অর্ধেকে নেমে আসবে। দুই দশক পরের ঢাকার এমন আশঙ্কাজনক ছবি উঠে এসেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরই (রাজউক) প্রতিবেদনে। ঢাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নজনিত সমস্যা নিরূপণ ও সম্ভাব্য সমাধানের পথনির্দেশ করতে সংস্থাটি ‘ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান’ শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার জন্য চারটি পরামর্শক সংস্থাকে নিয়োগ দেয় রাজউক। যৌথ সমীক্ষার তথ্যমতে, ঢাকার জনসংখ্যা বর্তমানে ১ কোটি ৫৯ লাখ। ২০৩৫ সালে এ শহরের জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৬০ লাখ। মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়বে। বর্তমানে ঢাকায় মোট যানবাহনের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০। ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৯ লাখ ১৯ হাজারে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি থাকবে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০। বর্তমানে এ ধরনের যানবাহন রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ১৫০টি। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কের ওপর চাপ বাড়বে। ফলে অর্ধেকে নেমে আসবে গাড়ির গতি। এমনিতেই ঢাকার রাস্তায় গাড়ির গতির এখন করুণ অবস্থা। যান অবরুদ্ধতা (ট্রাফিক স্নার্ল আপ) ও যানজট (ট্রাফিক জ্যাম) প্রতিদিন নগরবাসীর কর্মঘণ্টার উল্লেখযোগ্য অংশ আত্মসাত করে। বর্তমানে পিক আওয়ারে রাজধানীতে গাড়ির গড় গতিবেগ ঘণ্টায় আট কিলোমিটার। ২০৩৫ সালে তা কমে চার কিলোমিটারে নেমে আসবে। অথচ নগর সড়কে (আরবান রোড) যানবাহন চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত আদর্শ গতি ঘণ্টায় ২৫-৩০ কিলোমিটার। কদিন পরই স্বাধীনতা দিবস ‘জয় বাংলা’! এক আশ্চর্য মন্ত্র! একাত্তরের মার্চের কথা স্মরণ করুন, প্রিয় পাঠক। এই মন্ত্র ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর হৃদয়ের কবিতা। এর উচ্চারণে অজান্তেই মুষ্টিবদ্ধ হতো হাত প্রতিজ্ঞায় অঙ্গীকারে; আর চোখে খেলে যেত এক অভূতপূর্ব ঝিলিক। সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ! কালে কালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অপপ্রচারে একাত্তরের সেøাগানকে একটি দলের সেøাগান হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলেছে। তা সত্ত্বেও আজকের অনেক তরুণ দেশের সুসংবাদে, ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আসরে বিজয়ের উপলক্ষ পেলে বজ্র থেকে শক্তি ধার করে কণ্ঠে গৌরবদীপ্ত অহঙ্কারের স্বরভঙ্গিতে উচ্চারণ করে- জয় বাংলা! সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বইমেলার উত্তর পাশটিতে কৃত্রিম স্বচ্ছ কাচের দেয়াল থাকায় সুউচ্চ গ্লাস টাওয়ার অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। তরুণ মন কৌতূহলী হয়েছে। সেকথা মনে রেখেই ওই গ্লাস টাওয়ার সম্পর্কে রইল সামান্য আলোকপাত। সবুজ উদ্যান ভেদ করে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ এক টাওয়ার। যেন আকাশ ছুঁতে চাইছে। দেশ ও দেশের বাইরে এমন দৃষ্টিনন্দন ও উচ্চতাসম্পন্ন গ্লাস টাওয়ার আর দ্বিতীয়টি রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। রাতে কৃত্রিম আলোর প্রজেকশনে টাওয়ার ও জলধারায় এক স্বপ্নিল ও মায়াময় পরিবেশের জন্ম দেয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মিত স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পের এক নান্দনিক সৃষ্টি এই গ্লাস টাওয়ার। দুই দিকে ১৬ ফুট প্রস্থের টাওয়ারটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। এর উপরিভাগে রয়েছে স্বচ্ছ কাচ। এতে সূর্যের আলো প্রতিসরণ ও প্রতিফলন হয়। রাতে আলোকচ্ছটা তৈরির জন্য রয়েছে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা। রাতেও কৃত্রিম আলোর প্রজেকশনে টাওয়ার ও নিচের জলধারায় সৃষ্টি হয় এক স্বপ্নিল মায়াময় পরিবেশের। রমনা রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত। এই উদ্যানে দাঁড়িয়ে উপস্থিত লাখো জনতার সামনে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এখানেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। আর সেই উদ্যানেই নির্মিত হয়েছে এ কাচের টাওয়ার। এ টাওয়ারের নিচেই রয়েছে ভূগর্ভস্থ মিউজিয়াম। এ মিউজিয়ামে স্থান পাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত নানা ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ছবি। টাওয়ারের একপাশে রয়েছে শিখা চিরন্তন। ঢাকায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান ভাবাই যায় না। এমনটা সাধারণত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা দেখে এসেছি। অবৈধ দোকান-পাট এমনকি ভবনও ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এবার দেখলাম রাজনৈতিক দলের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়। অবশ্যই এটা সাধুবাদযোগ্য। গত মাস থেকেই জোরদার হয়েছে ঢাকায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান। রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও গ্রীনরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ভবনের কারপার্কিং স্থানে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ভবনের নকশা বহির্ভূত ব্যবহার করায় অর্থ জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। উত্তরা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর প্লটে ক্যালিফোর্নিয়া ফ্রায়েড চিকেন ভবনের নিচতলায় থাকা রেস্টুরেন্ট এবং একই সড়কের ২ নম্বর প্লটের পেছনে গাড়ি পার্কিংয়ে নির্মিত আগোরার গোডাউন ভেঙ্গে ফেলা হয়। ৬ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির পার্কিং স্থানে দোকান থাকায় মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই দিনের মধ্যে দোকানটি সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের সময় বেঁধে দেয়া হয়। রাজধানীর ধানমণ্ডি, উত্তরা ও গুলশানে ভবনের বেজমেন্টে গাড়ি রাখার জায়গায় বাণিজ্যিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে রাজউকের অভিযান চলছে। অর্থ জরিমানা করা হচ্ছে। অনেক ভবনের সামনে ফুটপাথের ওপর স্থাপিত বেড়া, বাগান অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা ও র‌্যাম্প উচ্ছেদ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার আবদুল্লাহপুরে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ মনে হচ্ছে রাস্তার পশ্চিম পাশ। মজুরে চূর্ণ ভবনের ইট তুলে নিয়ে যাচ্ছে ইচ্ছেমতো। সেসব বিক্রি করা হবে। ধ্বংসস্তূপ বা জঞ্জাল সরিয়ে জায়গাটার ভদ্র চেহারা দেয়া হলে দেখা যাবে এক সুপ্রশস্ত সড়ক দাঁড়িয়ে গেছে এখানে। ঢাকায় ঢোকার এই পয়েন্টে বেশ যানজট লেগে থাকে। রাস্তা সুপ্রশস্ত হলে ঢাকায় প্রবেশ ও প্রস্থান কিছুটা সহনীয় হবে। উড়াল সেতুতে ‘মৃত্যুকুড়াল’ যে কোন বড় নির্মাণ কাজের পেছনে থাকে বহু মানুষের পরিশ্রম। সভ্যতা এভাবেই এগিয়ে চলে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এসব বড় কাজে অপমৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় যে সমাজ যত বেশি সচেতন, সে সমাজে এইসব অপমৃত্যুর হারও কমে আসে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশে ছোটখাটো ভবন নির্মাণকালেও নির্মাণশ্রমিকের অপমৃত্যু ঘটে। এসব মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলা হলেও আসলে এটা এক ধরনের অন্যায্য উপেক্ষাজনিত মৃত্যু। শ্রমিকের প্রতি মমতা থাকলে নিয়োগকর্তা তার নিরাপত্তার দিকটি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে থাকে। গত বুধবার মগবাজার-মৌচাক উড়াল সেতুর কাজ চলার সময় লোহার রড পড়ে রাব্বি আহমেদ ইমন নামের এক নির্মাণ শ্রমিক মারা গেছেন। এই মৃত্যু অবশ্যই বেদনাবহ। ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণকাজের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক। আমরা আশা করব এবার কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আর একটিও অপমৃত্যুর ঘটনা দেখতে চায় না রাজধানীবাসী। পুরনো দিনের ছবি ‘আমরা ঢাকা’ নামের একটি ওয়েবসাইটে সেদিন ১৯৬৫ সালের ঢাকার একটি আলোকচিত্র নজর কাড়ল। সত্যিই অন্যরকম (ছবি দেখুন)। চার বান্ধবী গাড়িতে চড়ে শিকারে বেরিয়েছেন। দু’জনের হাতে বন্দুক দেখা যাচ্ছে। গাড়ির চালকের আসনেও নারী! অর্ধ শতাব্দীকাল আগের ঢাকা এবং তার নরনারীদের জীবনযাপন সম্পর্কে কৌতূহল বাড়িয়ে দিচ্ছে ওয়েবসাইটটি। আজকের তরুণ-তরুণীদের যত্রতত্র সেলফি তোলার ব্যাধির ছবির পাশে সেকালের জীবন-উপভোগের ভিন্নতর আলোকচিত্র কৌতূহল জাগানোর মতো। [email protected]
×