ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফি কাঁদলেন

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২০ মার্চ ২০১৬

মাশরাফি কাঁদলেন

অনলাইন ডেস্ক ॥ অন্যান্য দিনের মতো হাসিখুশি মাশরাফিকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায় নি। চেহারায় বিষাদের ছায়া দেখেই বুঝা গেলো দলপতিও কতোটা ভেঙে পড়েছেন। আমোদপ্রিয় মাশরাফির চোখে জল ছলছল করছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তরে একটু থেমে খেমে বলতে হয়েছে যেন গলাটা ধরে আসছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে কক্ষ থেকে বের হয়ে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি দলপতি মাশরাফি। অঝোরে কাঁদলেন। কান্নাও যেন শেষ হতে চায় না। রোববার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলন ও পরবর্তী দৃশ্য ছিলো এমন। একদিন আগে আইসিসির একটি সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন সহ ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অন্যায় সিদ্ধান্তে স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েছেন দুই প্রিয় সতীর্থ আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনের বাকি ম্যাচগুলোতে তাসকিন আহমেদ ও আর‍াফাত সানিকে ছাড়াই খেলতে হবে মাশরাফিদের। সতীর্থদের হারিয়ে দলপতিও বেশ বিপর্যস্থ তা বুঝাই গেলো। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বারবার বলেছেন অবিচারের কথা। তার এবং দলের দৃঢ় বিশ্বাস, তাসকিনের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। অধিনায়ক বারবার বলেছেন, দলের সবার বিশ্বাস, তাসকিনের অ্যাকশনে কোনো সমস্যা নেই। অবিচারের প্রতিবাদে দল হিসেবে এবং পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খুব বেশি কিছু করতে পারছেন না তারা; সেই অসহায়ত্ব অধিনায়কের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে বারবার। ক্রিকেটাররা প্রতিবাদ জানাতে না পারলেও করতে পারে বিসিবি। ক্রিকেটাররা এখন তাকিয়ে বিসিবির দিকে। মাশরাফি জানালেন, দলের পক্ষ থেকে শক্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে; যেন যেভাবে সম্ভব প্রতিবাদ করা হয়, প্রয়োজনে যেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রোববার দলের অনুশীলনে অনেক পরে এসেছিলেন অধিনায়ক। অনুশীলন করেছেন সবাই। কিন্তু অনুশীলনেও ছিলো হতাশার ভরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখে প্রায় আধা ঘন্টার সংবাদ সম্মেলনে মাঠের ক্রিকেট থাকল সামান্যই। শুরু থেকেই নিজের মনে কথা, দলের ভাবনা ও মানসিকতার কথা বলে গেছেন মাশরাফি কান্নাজড়িত কণ্ঠে। গুরুত্বপূর্ণ দুজন সদস্যকে হারানো দলের জন্য কত বড় আঘাত জানিয়ে গেলেন সেটাও। নিষিদ্ধ হওয়ার খবর জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তাসকিন। মাশরাফি তাকে শান্ত করেছেন বারবার। মাশরাফি জানালেন, ছেলে দুটিকে শান্ত রাখতে কতটা হিমশিম খাচ্ছে দল; ওদের জন্য পুড়ছে দলের সবার হৃদয়। অধিনায়ক, দল, আর দেশ কেউ মানতে পারেছেনা এই অবিচারটা। অধিনায়কের চোখের জলও একটা প্রতিবাদ। বিষয়টা দেখার দায়িত্ব এখন বোর্ডে। যদিও বিসিবি আপীলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এর শেষটুকুও দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়াপ্রেমীরা
×