ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ভৈরবে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ॥ সালিশ করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৪ অক্টোবর ২০১৫

ভৈরবে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ ॥ সালিশ করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ৩ অক্টোবর ॥ ভৈরবের এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলেও থানায় মামলা হয়নি। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর ধর্ষিত ও তার পিতাকে আটকে রাখে। পরে শালিশী দরবারে ধর্ষিতার পিতার হাতে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। শুক্রবার রাতে ভৈরবপুর ৭ নং ওয়ার্ডে ধর্ষণকারীদের নিয়ে সালিশী দরবার বসার খবরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। পুলিশ উপস্থিত হওয়ার আগেই সালিশী দরবার শেষ হয়ে যায়। এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে গাছতলাঘাট এলাকার এক রিক্সাচালকের কন্যা স্বামীর বাড়ি থেকে পিত্রালয়ে যাবার পথে তিন যুবক রকি,আলামিন ও জিকুল কিশোরীটিকে রাস্তা থেকে তুলে রকির বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কিশোরীর পিতা প্রথমে ভৈরবের র‌্যাব ক্যাম্পে এসে জানায়। র‌্যাব সদস্যরা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু র‌্যাব ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণকারী ও তাদের লোকজন কিশোরী বধূ ও তার পিতাকে তাদের হেফাজতে রাখে। পরে শুক্রবার রাতে রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোডে একটি বাড়িতে গোপনে সালিশী দরবার বসে কিশোরীর ইজ্জতের দাম ২০ হাজার টাকা রায় হলে ধর্ষণকারীদের আত্মীয়রা ধর্ষিতার পিতার হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছার আগেই সালিশ শেষ করে চলে যায়। ভৈরব থানার ওসি জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নড়াইলে বিয়ের প্রলোভনে নারী ধর্ষণ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা নড়াইল থেকে জানান, বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে নড়াইলের নড়াগাতি থানায় ২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি এলাহী খন্দকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। বিয়ের সাজানো নাটক দেখিয়ে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন ও গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটি। তিনি গোপালগঞ্জ সরকারী ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের ছাত্রী। কলেজে যাওয়া-আসার পথে কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামের আলতাফ খাঁর পুত্র আব্বাস খাঁ ও সোহরাব খন্দকারের পুত্র এলাহী খন্দকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা দু’জনেই নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীকে ইলাহীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি করায়। গত বছর ৪ এপ্রিল গোপালগঞ্জে এক আইনজীবীর কাছে নিয়ে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে একটি এফিডেভিট লিখে ওই ছাত্রী ও ইলাহীর স্বাক্ষর নিয়ে ওই আইনজীবীকে দিয়ে সত্যায়িত করে। এর একটি ফটোকপি দিয়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করাসহ দেহ ব্যবসা করানোর চেষ্টা করে ইলাহী। গত ৩০ জুলাই রাতে যোগানিয়া গ্রামে তার বাড়িতে এনে তিন যুবককে দিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করিয়ে পরের দিন সকালে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বাঐসোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরকান মোল্যা মীমাংসার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন।
×