ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোর ফুটবলার নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কিশোর ফুটবলার নিয়ে বাফুফের পরিকল্পনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখন শেষের দিকে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘সেইলর বাফুফে জাতীয় অনুর্ধ ১৫ ফুটবল টুর্নামেন্ট।’ যেখানে অংশ নেয়া ফুটবলারদের দাবি- ভবিষ্যতেও যাতে অব্যাহত থাকে বয়সভিত্তিক ফুটবলের এমন আয়োজন। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে ভাল করা ফুটবলারদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানালো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করতেই বাফুফের উদ্যোগে গত জুনে শুরু হয়েছিল অনুর্ধ ১৫ ফুটবল টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নিয়েছিল দেশের ৬১ জেলা। বাছাই প্রক্রিয়ার উতরে সেখান থেকে আট ভেন্যুর চ্যাম্পিয়ন দল জায়গা করে নেয় টুর্নামেন্টটির চূড়ান্ত পর্বে। যেখানে ফেডারেশন খুঁজে পায় ফুটবলের বেশ কিছু নতুন প্রতিভা। প্রথমবারের মতো বাফুফের এই আয়োজনে সারা দেশে থেকে অংশ নিয়েছিল সহস্রাধিক ক্ষুদে ফুটবলার। তবে ভেন্যু চ্যাম্পিয়নের বাধা টপকে সেখান থেকে মূল পর্বে জায়গা করে নেয়া ফুটবলারের সংখ্যাটা এখন অল্পই। যাদের সবার প্রত্যাশা তৃণমূল পর্যায়ের এসব ফুটবলারদের প্রতিভা মেলে ধরার এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে বাফুফে। মূলত ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠেয় অনুর্ধ ১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আসছে সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপকে সামনে রেখে দলগঠন করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছিল বাফুফে। যাতে প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে তাদের। তবে বাকিরাও যেন হারিয়ে না যায় সেটি নিয়েও পরিকল্পনা করছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বলেন, ‘আমাদের যে খেলোয়াড়রা আছে তাদের আমরা সিলেটের বাফুফে একাডেমিতে নেব। বাকি যারা আরও ভাল খেলোয়াড় আছে তাদের আমরা জেলাভিত্তিক যার যার অবস্থানে থেকে তাদের সাহায্য করা এবং অনুশীলনের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। তাদের কিভাবে আমাদের নেটওয়ার্কে রেখে অনুশীলনে রাখা যায় এটা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।’ পাশাপাশি সামনের বছরগুলোতে আরও নিচু পর্যায় থেকে ফুটবলের এমন বয়সভিত্তিক আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বাফুফে। উল্লেখ্য, বাফুফের ব্যবস্থাপনায় গত ২ জুলাই থেকে দেশের ৮ ভেন্যুতে ৬১ জেলায় (বগুড়া, ভোলা, ঝালকাঠি জেলা ব্যতীত) অনুর্ধ ১৫ ফুটবল দলের অংশগ্রহণে ‘সেইলর-বাফুফে অনুর্ধ ১৫ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৫’-এর খেলা শুরু হয়। এবারের প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় নকআউট পদ্ধতিতে। ভেন্যু চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি প্রদান করা হবে। প্রত্যেক ভেন্যু চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে ঢাকায় লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় মূলপর্বের খেলা। অনুর্ধ ১৬ সাফ, অনুর্ধ ১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব এবং ২০১৭ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ‘অনুর্ধ ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল’ খেলাকে সামনে রেখে এ আসরটি আয়োজন করা হয়। এখান থেকে সেরা খেলোয়াড়দের অনেকেই এ আসরগুলোর দলে স্থান পাবে। বাফুফের আশা- এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে অনেক ভালমানের ফুটবলার বেরিয়ে আসবে। চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী প্রতি দল পাচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। আর ৮ ভেন্যুর আয়োজকরা প্রত্যেকে পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা করে। এ আসরের পৃষ্ঠপোষক ইপিলিয়ন গ্রুপ। সেইলর বিএফএফ জাতীয় অনুর্ধ ১৫ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ দীর্ঘ ৪ বছর পর আবারও উপজেলা পর্যায় থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে দল গঠনের কার্যক্রম শুরু করে। টুর্নামেন্টের ব্যয় ধরা হয় ৭৫ লাখ টাকা। পুরোটাই বহন করে ইপিলিয়ন গ্রুপ। ২০১১ সালের পর এবারই প্রথম এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
×