ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাবাগান একাডেমিতে নেমেই শতক বিজয়ের

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

কলাবাগান একাডেমিতে নেমেই শতক বিজয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে নিজ নিজ দলের পক্ষে খেলতে নেমে গেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে সবচেয়ে আলোকিত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। লীগে নিজের প্রথম ম্যাচেই ১০৪ বলে ১১ চার ও ৭ ছক্কায় ১১৩ রান করে ফেলেছেন। তবে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির (কেসিএ) হয়ে ওপেনিংয়ে নন, বিজয় খেলতে নেমেছেন তিন নম্বরে। এ পজিশনেই বাজিমাত করেছেন। দলও পারটেক্সের বিরুদ্ধে ১৯৭ রানের বড় জয় পেয়েছে। ব্রাদার্সের অভিষেক মিত্রও এদিন শতক হাঁকিয়েছেন। ১৩৭ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১০১ রান করেছেন। তার এ দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ব্রাদার্সও ৪ উইকেটে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারায়। আর আবাহনী টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে। দলটি ভিক্টোরিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। পাত্তাই পেল না পারটেক্স বিকেএসপি দুটি বড় জুটি হয়েছে। আর দুই জুটিতেই কাত হয়ে যায় পারটেক্স। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান ও বিজয়ের মধ্যকার ১৯৩ (২২-২১৫ রান) ও পঞ্চম উইকেটে সাব্বির রহমান ও ফিল মাস্টার্ডের মধ্যকার ৭৯ (২১৮-২৯৭ রান) রানের জুটি হয়। এই দুই জুটিই কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে বড় স্কোর গড়তে সহায়তা করে। এর মধ্যে বিজয় ১১৩, মাহমুদুল ৭০, মাস্টার্ড অপরাজিত ৫৯ ও সাব্বির ৩৩ রান করে দলকে ৩৩৪ রানে নিয়ে যান। এরপর কী আর জয় মেলে পারটেক্সের। টানা পঞ্চম হারের শিকারই হয় দলটি। পারটেক্সের সর্বোচ্চ জুটিটি হয় দশম উইকেটে গিয়ে। তাও ৪০ (৯৭-১৩৭ রান) রানের। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি পারটেক্স। বড় হারই হজম করতেও হয়। পাত্তাই পায়নি পারটেক্স। এ ম্যাচে জয়ে কলাবাগান পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকে। আবাহনীর জয়রথ চলছেই আবাহনী জয় পেয়েই চলেছে। দলটি টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে। মিরপুরে বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়াকেও হারায় আবাহনী। আগে ব্যাট করে নাজমুল অপুর বোলিং তোপে ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি ভিক্টোরিয়া। জবাবে লিটনের ৫৪, মজিদের অপরাজিত ৫০ ও নাসির হোসেনের অপরাজিত ৩০ রানে ৪৬.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান করে জিতে যায় আবাহনী। ব্রাদার্সে ধরাশায়ী কলাবাগান কেসি আবাহনী, ভিক্টোরিয়ার পর ব্রাদার্সেও ধরাশায়ী হয়েছে কলাবাগান কেসি। অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েই দলটি হেরেছে। অভিষেক মিত্র’র শতকের কাছেই হেরে যায় দলটি। আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট করে নেয়া নাজমুস সাদাত ও আসিফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯২ রানেই অলআউট হয়ে যায় কলাবাগান কেসি। জবাবে অভিষেকের অপরাজিত ১০১ রানে ৬ উইকেটে ৪৬.৩ ওভারে ১৯৫ রান করে জয় পেয়ে যায় ব্রাদার্স। স্কোর ॥ কলাবাগান সিএ-পারটেক্স ম্যাচ-বিকেএসপি-৩ কলাবাগান ইনিংস ৩৩৪/৫; ৫০ ওভার (বিজয় ১১৩, মাহমুদুল ৭০, মাস্টার্ড ৫৯*, সাব্বির ৩৩; আজিম ৩/৫৫)। পারটেক্স ইনিংস ১৩৭/১০; ৩৫.৫ ওভার (শফিউল ৪১*, রবিউল ৩৫; হালদার ৩/১৬, শরীফ ২/৩৭)। ফল ॥ কলাবাগান সিএ ১৯৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ এনামুল হক বিজয় (কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি)। আবাহনী-ভিক্টোরিয়া ম্যাচ-মিরপুর ভিক্টোরিয়া ইনিংস ১৫৯/১০; ৪৮.২ ওভার (সোহরাওয়ার্দী ৪৫, ইমরুল ৩১; অপু ৪/১৪, সাকলায়েন ২/১৬)। আবাহনী ইনিংস ১৬৫/২; ৪৬.২ ওভার (লিটন ৫৪, মজিদ ৫০*, নাসির ৩০*)। ফল ॥ আবাহনী ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাজমুল অপু (আবাহনী)। ব্রাদার্স-কলাবাগান কেসি ম্যাচ-ফতুল্লা কলাবাগান কেসি ইনিংস ১৯২/১০; ৪৯ ওভার (পেটিনি ৫৪, মাসুদ ৪৫*, নাসিরুদ্দিন ৪১; নাজমুস ৩/১৬, আসিফ ৩/৩৬)। ব্রাদার্স ইনিংস ১৯৫/৬; ৪৬.৩ ওভার (অভিষেক মিত্র ১০১*, নাজিমুদ্দিন ৫০, শাহাদাত ২/৫০)। ফল ॥ ব্রাদার্স ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ অভিষেক মিত্র (ব্রাদার্স ইউনিয়ন)।
×