ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

জ্বিনের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মোবাইলে ভিডিও ধারণ!

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ৮ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৬:৪৫, ৮ আগস্ট ২০২৫

জ্বিনের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মোবাইলে ভিডিও ধারণ!

ছবি: প্রতীকী

জ্বিনের ভয় দেখিয়ে ও বাথরুমে গোপন ক্যামেরার ভিডিও ধারণ করে একাধিক শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফুসে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবার ও এলাকাবাসী।

টাঙ্গাইল পৌর শহরের বৈল্লা বাজার এলাকায় হযরত ফাতিমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাথরুমে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ এবং জ্বিনের ভয় দেখিয়ে এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

কিছুদিন আগে ওই মাদ্রাসায় টাকা চুরির একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক তার রুমে ডেকে নেন। পরে মোবাইল ক্যামেরা চালু করে বাথরুমে নিয়ে টাকা চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বলেন ওই ছাত্রীকে। ভুক্তভোগী ওই শিশু ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে জ্বিনের ভয় দেখিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও ধারণ শেষে ওই শিক্ষক তার অফিস রুমে নিয়ে ভুক্তভোগীকে বোরকা খুলতে বলেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে ধারণকৃত গোপন ভিডিও ভাইরাল করে দেয়াসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে অফিস রুমে গেলে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে গত মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার পরিচালক ওবায়দুল্লাহ’র ভাই মাহমুদুল্লাহকে বৈল্লা বাজারে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি চেয়ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষক তার শিশু মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় শিশুটি। ভুক্তভোগী শিশুটি জানান, মাদ্রাসার ওই শিক্ষক তার সাথেই এমন আচরণ করেছেন বিষয়টি তা নয়। আরো অনেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ এমন কাজ করে আসছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেন মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের এক শিক্ষিকা। তিনি বলেন, ‘কালকে রাত পর্যন্ত এখানে যে এরকম কিছু হইছে সেটা আমি জানতাম না। উনাদের মুখে, ফেসবুকে যা দেখতেছি, আমি আমি অবাক। যদি আমাদের কিছু হইতো আমার কানে কি একবারও আসতো না? এই বিষয়টা আমার কানে একবারও আসে নাই। আর মেয়েগুলা কী অভিযোগ দিছে, তাও জানিনা কিন্তু তারা এই প্রতিষ্ঠানে দোতলায় পড়ছে।’

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা রোধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার ও মাদ্রাসাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=UVwX2Q2xo5k

 

রাকিব

আরো পড়ুন  

×