ছবি: জনকণ্ঠ
প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ ও সময় টিভির অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অফিস সরঞ্জাম ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতের কোনো এক সময়ে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ ভবনের দুটি কক্ষ এবং প্রেসক্লাবে অবস্থিত সময় টিভি ও দেশ টিভির স্থানীয় অফিসে এ চুরির ঘটনা ঘটে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থিত প্রেসক্লাবে চলতি বছরে এ নিয়ে দুইবার চুরির ঘটনা ঘটলেও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও চুরির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রেসক্লাবের সদস্যরা।
চুরির ঘটনার খবরে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর সভাপতি বিএম জুবায়ের হোসেন জানান, সকালে প্রেসক্লাবের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ক্লাবের কক্ষ ঝাড়ু দিতে গিয়ে হলরুমের সকল মালামাল এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ক্লাবে গিয়ে দেখতে পাই হলরুমের বাথরুমের দরজা ভাঙা। বাথরুমের উপরের টিন উপড়ে ফেলে সেখান দিয়ে চোর প্রবেশ করে ক্লাবের দুটি টিভি, দুটি ল্যাপটপ, ৩টি ফ্যান, পানি উত্তোলনের একটি মোটরসহ বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র খোয়া গেছে। এছাড়াও প্রেসক্লাবের অপর একটি কক্ষ যেখানে সময় টিভি ও দেশ টিভির দুইজন রিপোর্টারসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ভাড়া নেওয়া অফিস কক্ষ থেকে দুটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে নেয় চোরেরা।
প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সহ-সভাপতি সেলিম রেজা জানান, এর আগে চলতি বছরেও প্রেসক্লাবে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শহরের প্রধান সড়ক এবং খোলামেলা এমন একটি জায়গা থেকে বারবার চুরি হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত একজন চোরকেও গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। এটি খুবই দুঃখজনক।
দেশ টিভির গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জাবেরুল ইসলাম বাধন জানান, প্রেসক্লাব ও আমাদের অফিস কক্ষ থেকে চোরেরা আমার ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং সময় টিভির রিপোর্টার জয়ন্ত শিরালীর ব্যবহৃত এলটি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নেয়। শুক্রবার ভোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করার সময় জেলা জজের বাসার সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোন ও ঘড়ি পেয়ে পৌরসভায় জমা দেয়। চুরির পর চোরেরা গুরুত্বপূর্ণ এবং সদর রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাওয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, চোর শনাক্ত এবং চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
মুমু ২
