ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা: অভিযুক্ত ঘাতক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২৬ জুলাই ২০২৫

স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা: অভিযুক্ত ঘাতক গ্রেপ্তার

ছবি- অভিযুক্ত ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল খান

স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা এবং দশ বছরের ঘুমন্ত ছেলেকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল খানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল হক বাদল খান বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সদরের ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।

এর আগে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন কোমলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নদীপথে অভিযান চালিয়ে ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব জানায়, চলতি বছরের ৫ মে দিবাগত রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল হক বাদল খান তার চতুর্থ স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫) এবং শাশুড়ি বিলকিস ওরফে বিলুকে (৭০) ঘরের মধ্যে বসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

একই সময় বাদল খান তার দ্বিতীয় স্ত্রীর দশ বছরের ছেলে ইয়াছিনকে ঘুমন্ত অবস্থায় টেনে নিয়ে বাথরুমে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ইয়াছিন কোনো রকমে অভিযুক্তের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে ঘটনা জানায়।

পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় লাশে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঘাতক ওবায়দুল হক বাদল খান পালিয়ে গেছে। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে পুলিশে খবর দেয়ার পর ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। 

এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন মো. শানু খান বাদি হয়ে  ওবায়দুল হক বাদল খানকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করতেন। আর বিয়ের মাত্র ২০দিনের মধ্যেই সে (ওবায়দুল হক বাদল খান) চতুর্থ স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করেন।

ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত ওবায়দুল হক বাদল খানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও তিনি (ওসি) উল্লেখ করেন।  

নোভা

×