
ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানির স্রোতের গতি প্রবল থাকায় নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে ভাঙনের শঙ্কা বেড়েছে।
ইতোমধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি, মেহেন্দিগঞ্জ সদরের শ্রীপুর, চরগোপালপুরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদীভাঙনে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার, বাবুগঞ্জের সন্ধ্যা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি ৭৭ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগীর বিষখালী নদীর পানি ৫২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি ৮২ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি ১৪৫ সেন্টিমিটার এবং ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়াও বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি ৪৫ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর কাইতপাড়ার লোহালিয়া নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার, মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ৩২ সেন্টিমিটার এবং উমেদপুরে কচা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্যার কোনো প্রভাব নেই।
মুমু ২