ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ছুটি হবে একটু পর… তখনই :প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীর করুণ বর্ণনা

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ২১ জুলাই ২০২৫

ছুটি হবে একটু পর… তখনই :প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীর করুণ বর্ণনা

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহতা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তাদের একজন শিক্ষার্থী এক আবেগঘন বর্ণনায় জানান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে বিদ্যালয়ে কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

 

 

তিনি বলেন, "ছুটি হবে একটু পর... ছুটি ছুটি ভাব চারপাশে। সবাই ছিল, সবাই ছিল। তখনই হঠাৎ করে বিল্ডিংটা পড়ল। প্রথমে বুঝতে পারিনি কী হচ্ছে। একটা দিক দিয়ে পড়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে সবাই নামতে শুরু করে, কে সিঁড়ি দিয়ে, কে লাফ দিয়ে।"

এই শিক্ষার্থী আরও জানান, বিদ্যালয়ের নম্বর ১, ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ভবন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন:

"আলহামদুলিল্লাহ, নাইন থেকে সেকেন্ড ইয়ার পর্যন্ত সিনিয়ররা মোটামুটি সবাই সুস্থ আছে।"

 

 

তিনি জানান, তাদের ১ নম্বর বিল্ডিংটি ছিল আটতলা বিশিষ্ট, আর বিমানটি জুনিয়র সেকশনের দিকে—প্লে থেকে এইট শ্রেণি পর্যন্ত যেখানে ক্লাস হয়—সেই দিকেই পড়ে। দূরত্ব ছিল আনুমানিক ১০০ থেকে ১৫০ মিটার।

বিদ্যালয়ের মোট ভবনের সংখ্যা ছিল ১১টি, যার মধ্যে ৭টি ছিল সিনিয়র শ্রেণির (নাইন থেকে ক্লোজ পর্যন্ত) এবং বাকি ৪টি ছিল জুনিয়রদের জন্য।

 জানা যায়, জুনিয়রদের ভবনগুলো ছিল তুলনামূলক ছোট—একতলা টিনশেড ঘর থেকে শুরু করে তিনতলা পর্যন্ত ভবন, ক্যান্টিনের পাশেই তাদের অবস্থান।

 

 

তিনি বলেন:"আমি এখন নিজেই নিজের ছবি দেখছি... আমি কন্ট্রোল করতে পারছি না। 
 

 

শিক্ষার্থীর এই আবেগঘন বক্তব্য শুধু এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নয়, বরং তা একটি প্রজন্মের মানসিক আঘাত ও ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে। শিশুরা যারা স্কুলে পড়তে গিয়েছিল, তারা হয়তো আর কখনও আগের মতো করে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারবে না—এই ভয়ভীতির ছায়া তাদের দীর্ঘদিন তাড়া করবে।

 

সূত্র:https://youtu.be/KK1QXPLIo_k?si=bullMbBXv3iVgCGU

 

ছামিয়া

×