
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এবং প্রাণহানির কারণে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) একদিনের শোক ঘোষণা* করেছে সরকার। এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ছিলেন বলে জানা গেছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং মাত্র *১২ মিনিট পর, অর্থাৎ ১টা ১৮ মিনিটে, উত্তরার মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়, ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর ১টা ২২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শুরুতে ৮টি ইউনিট কাজ করলেও পরে আরও ২টি ইউনিট যুক্ত হয়।
এছাড়া, উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির ২ প্লাটুন সদস্য ও যোগ দেয়।
বর্তমানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ইউনিটগুলো যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে জানা যায়, বিমান বিধ্বস্তের পর মাইলস্টোন ক্যাম্পাস থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উঠতে দেখা যায়। শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এফ-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি কীভাবে দুর্ঘটনায় পতিত হলো, তা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছামিয়া