
ছবি: সংগৃহীত
ছোট্ট কিন্তু নজরকাড়া এক দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। নাম ‘স্বপ্ননীল’। এক ঝলক দেখলেই মনে হবে—এ যেন ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো প্রাচুর্যময় নিসর্গের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছিমছাম কটেজ। অথচ বাড়িটি ঠিক আমাদের দেশেই, কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলো দেখলেই বোঝা যায়—‘স্বপ্ননীল’ এখন কেবল একটি বাড়ি নয়, এককথায় এটি হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের নতুন দর্শনীয় স্থান। অনেকেই বলছেন, ‘ভাইরাল বাড়ি’ বললেই সবাই চিনে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন এটি এক নজর দেখার জন্য। কেউ তুলছেন ছবি, কেউ করছেন ভিডিও শুট—আবার অনেকে কনটেন্ট নির্মাণে ব্যবহার করছেন বাড়িটির মনোমুগ্ধকর প্রেক্ষাপট।
প্রায় ১ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারের ওপর। ছাদ ও দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে ইনসুলেটেড সিমেন্ট শিট এবং বিশেষ ধরনের হিট-রেজিস্ট্যান্ট টিন, যা গরমে ঠান্ডা ও শীতে উষ্ণতা বজায় রাখে। বাড়িটির ইন্টেরিয়র ডিজাইন, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও সাজানো হয়েছে আধুনিক রুচির ভিত্তিতে।
এই বাড়িটির নকশা ও নির্মাণ করেছেন আলমগীর হোসেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আলম শিবলু। ঢাকার বাণিজ্য মেলায় ইউরোপিয়ান ঘর প্রদর্শনী দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন এবং কিশোরগঞ্জে এমন একটি বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তার ভাষায়, “এই রকম রিসোর্ট বা বাড়ি যদি দেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়, তাহলে পরিবার নিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের আর হোটেলে থাকার প্রয়োজন পড়বে না।”
ব্যবসায়ী শফিকুল আলম জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এই বাড়িটি সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে ভাড়া নিতে পারেন। ভ্রমণপ্রেমী বা পরিবারসহ আসা পর্যটকদের জন্য এটি হতে পারে এক অসাধারণ বিকল্প অভিজ্ঞতা।
ভাইরাল বাড়ি ‘স্বপ্ননীল’ নির্মাণ করেছে “Kewaiton” নামের একটি গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান। পুরো প্রজেক্টে— অবকাঠামো, আসবাবপত্র ও ইন্টেরিয়র মিলিয়ে—মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
ছামিয়া