ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা, চড়া মাছের দামও 

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ২৯ জুন ২০২৫

ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা, চড়া মাছের দামও 

ছবি: জনকণ্ঠ

ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা, চড়া মাছের দামও। বাজারে চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধরনভেদে প্রতি কেজি চালের দাম দুই থেকে আট টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ ( ২৯ জুন ) রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর ও জিনজিরা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সব চালের দামই প্রতি কেজিতে বেড়েছে। এখন বাজারে মানভেদে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, স্বর্ণা গুটি চাল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা এবং চিনি গুঁড়া পোলাও চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের পাশাপাশি মাছেরও দাম বেড়ে গেছে।বিক্রেতারা জানায়, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।বাজারে মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা, পাঙাস ২২০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, কৈ ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০-৫০০ টাকা, বড় পাবদা ৪০০-৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা এবং দেশি ছোট মাছের দাম ৫০০-৬০০ টাকা কেজি।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

খুচরা বাজারের চাল ব্যবসায়িরা অভিযোগ করে বলেন, দেশে এখন ভরো আমনের ভরা মৌসুম। এর মধ্যেই পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। মিল থেকে আমাদের বেশি দামে চাল ক্রয় করতে হয়। গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাতে খুচরা পর্যায়ে সরু চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি  হচ্ছে। যা সপ্তাহ দুই আগে ছিল ৭২-৮০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়েছে।

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, যার যা মন চাচ্ছে তাই দাম নিচ্ছে। এখনতু বাজার দেখার কেউ নেই। সব ধরনের চাল কেজিতে সর্বোচ্চ ৫-৮ টাকার মতো বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো গরিব মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, বাজারে কোন পণ্যের দামিই বাড়েনি,  কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মোনাফার লোভে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী পায়তারা করছে। সেই সব ব্যবসায়িদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কেরানীগঞ্জের হাট বাজারের প্রতিটি দোকানে সরকারি মূল্য তালিকার দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আমাদের মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যে ব্যবসায়িরা ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য বেশি দামে বিক্রি করবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিহাব

×