
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে প্রেমঘটিত বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১০-১২টি বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও দুটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ফজলু মিয়া ও জহুর আলম পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর ধরে এ দুই পরিবারের মধ্যে প্রেমসংক্রান্ত ঘটনায় একাধিকবার সংঘর্ষ ও মামলা-মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ফজলু মিয়ার ভাই রাশিদ মিয়ার ছেলে সোলেমান মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জহুর আলমের মেয়ে বিপাশা’র প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ তিন বছর ধরে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিপাশা সোলেমানের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুজন গোপনে পালিয়ে বিয়ে করেন।
এ ঘটনার পর মেয়ের পরিবার সোলেমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। পুলিশ র্যাবের সহযোগিতায় মেয়েকে ভৈরব থেকে উদ্ধার করে এবং সোলেমানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
এরপর থেকেই উভয় পক্ষ একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০-১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং দুটি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জজ মিয়ার ছেলে রাকাব উদ্দিন (২০) সহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, "পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।
আফরোজা