
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা ও তাড়ানী গ্রামে একদল বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে তছনছ করে দিয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) রাতব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে এসব পরিবারের ঘরে রাখা ধান, চাল ও গাছের কাঁঠাল এবং কলাগাছ খেয়ে সাবাড় করে হাতির দল।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো— কালাকুমা গ্রামের হাবি মিয়া ও তার মেয়ে পুতুল। তাদের একটি করে বসতঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া তাড়ানী গ্রামের বাসিন্দা হোসেন আলীর একটি বসত ও একটি রান্নাঘরে তাণ্ডব চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সেই সাথে বসতঘরে মজুদ করে রাখা ধান, চাল, গাছের কাঁঠাল ও বাড়ির আঙিনায় রোপিত কলাগাছ খেয়ে সাবাড় করেছে বন্যহাতির দল।
গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে গারো পাহাড়ি এলাকায় শতাধিক বন্যহাতির কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠে হানা দিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে বন্যহাতির পাল। এলাকার মানুষ জানমাল রক্ষা করতে বন্যহাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। তারা হাতির অত্যাচার বন্ধ করতে সরকারিভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বন বিভাগের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সানজানা