
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ঈদের ছুটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় সেবা পেতে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
ঈদের পর হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। গত কয়েকদিনে উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। আর এ সকল রোগীরা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময় কোন ডাক্তার পাচ্ছেন না।
এছাড়াও এই উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সকাল থেকে লম্বা লাইন দেখা যায়। তার ওপর নেই বসার ব্যবস্থা। গরমে অসুস্থ শিশুদের নিয়ে বিপাকে অভিভাবকরা। কারও কারও সেবা নিতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর এই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন দুইজন ডাক্তার। অনেকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতেই ফিরে যাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা গারুড়িয়া ইউনিয়নের রোগী জোসনা বেগম জানান, সকাল ১০ টায় সরকারি হাসপাতাল এসেছি। ২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে এখনো ডাক্তার দেখাতে পারেনি। ঈদের ছুটিতে সব ডাক্তাররা চলে গেছে। এখন রোগীর চাপ বেশি ডাক্তার নেই। মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে হাসপাতালের ডাক্তার না থাকায় অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আসিফ