ছবি: জনকণ্ঠ
মাদারীপুরে বিয়ে বাড়িতে নাচগানকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির জের ধরে দুই গ্রামবাসির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও উভয় পক্ষের দোকান- বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা ও উত্তর খাগছাড়া দুই গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১১ জুন) রাতে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নাচতে যায় একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাগর বেপারী (সাগর মেম্বার) গ্রুপ ও উত্তর খাগছাড়া গ্রামের হাকিম কাজী গ্রুপের দুই দল কিশোর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ওই দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
পরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজনসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উত্তর খাগছাড়া নতুন বাজারে সালিস মিমাংসার জন্য বসেন। এ সালিস চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে যায়। একপর্যায়ে উত্তর খাগছাড়া ও সুচিয়ার ভাঙ্গা দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। ভাংচুর করা হয় অন্তত পক্ষে বেশ কয়েকটি দোকান ও বসতবাড়ি।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরা হলেন-আলামিন সন্ন্যামাত, জামাল ঢালী, অলিল ঢালী, শাহআলম সন্ন্যামাত, রেজাউল চৌকিদার, কাওয়াসার তালুকদার, কামাল হোসেন, সাব্বির শিকদার, শুভ কাজী, রোমান কাজী, আরিফ কাজী, ইব্রাহিম কাজীসহ ১৫ জন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম (ক্রাইম এণ্ড অপস্) জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স গিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। আপাতত ওই এলাকায় কোন সমস্যা নেই। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়ার মতো হলে মামলা নেবো।’
শিহাব
