ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’: ইরানের মিসাইলে কেঁপে উঠল তেলআবিব ও জেরুজালেম

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৪ জুন ২০২৫

‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’: ইরানের মিসাইলে কেঁপে উঠল তেলআবিব ও জেরুজালেম

ছবি:সংগৃহীত

ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার জবাবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস–৩’ নামে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইরান। শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতে এই অভিযানে ইরান তিন দফায় শতাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করে, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম, তেলআবিবসহ মধ্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো।

 

 

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, ইরানি মিসাইলগুলোর কিছু সরাসরি ভবনে আঘাত হেনেছে। চ্যানেল-১২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেলআবিব ও তার আশপাশে আবাসিক এলাকায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা *রয়টার্স*ও নিশ্চিত করেছে, মধ্যরাতের ওই হামলায় তেলআবিব ও জেরুজালেম কেঁপে উঠে।

হামলার আগে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের নির্দেশ দেয়। হামলার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করার নির্দেশ বহাল রাখা হয়।

 

 

এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল, যার ধারাবাহিকতা চলে সারাদিন। হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই নতুন আইআরজিসি প্রধানের নাম ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রধান বলেন, “ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের জন্য শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।”

 

এই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান শুরু করে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। অভিযানের প্রথম দফাতেই ছোড়া হয় শতাধিক মিসাইল। এই হামলার মুখে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর নিরাপত্তা প্রধান ও শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি করে মাটির নিচে বাঙ্কারে আশ্রয় নেন।
 

ছামিয়া

×