
ছবি: সংগৃহীত
ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। সূত্রের খবর, ঘটনায় নিহত কমপক্ষে ২৭৪ জন, যাদের মধ্যে যাত্রী, ক্রু এবং সাধারণ বাসিন্দা। সকলেই রয়েছেন।
সাম্প্রতিককালে এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা দেখেনি দেশ। তবে এই ঘটনার পর থেকেই একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে আসছেকীভাবে ঘটল এই বিপর্যয়? ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কীভাবে ভেঙে পড়ল বোয়িং ড্রিমলাইনার? এই বিষয়ে একাধিক তথ্য জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধান অরূপ সাহা জানিয়েছেন, তাঁর মতে ইঞ্জিন বিকল হয়েই ঘটেছে দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘‘বিমান যেভাবে মাটিতে ঢুকে গিয়েছে এবং বিমানের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আকাশে ওড়ার সময় ইঞ্জিনের পাওয়ারে সমস্যা দেখা দেয়।’’
অরূপ সাহার মতে, ‘‘সম্ভবত দুটি ইঞ্জিনেই পাওয়ার চলে যায় (অর্থাৎ, ইঞ্জিন বিকল হয়), এবং তা ঘটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এর ফলেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে জ্বালানিতে ভেজাল। অতীতেও এ ধরনের কারণে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
আন্তর্জাতিক বিমান বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন স্টিভের একটি ভিডিও বর্তমানে (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে ‘ল্যান্ডিং গিয়ার’-এর পরিবর্তে ‘ফ্ল্যাপ রিট্র্যাকশন’। এটি একটি ককপিট ত্রুটি বা ‘একটি দুঃখজনক ভুল’। এর আগে ক্যাপ্টেন স্টিভ অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের কথাও বলেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাপ মিসম্যানেজমেন্ট এবং পাখির ধাক্কা। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৮৭ একটি বড় মাপের বিমান হওয়ায় শুধুমাত্র পাখির ধাক্কায় এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।
তাঁর মতে, “মনে হয় না গিয়ার তোলা হয়েছিল। হ্যান্ডেলেও হয়তো হাত দেওয়া হয়নি। আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারব ব্ল্যাকবক্স পাওয়ার পর। তবে দুর্ঘটনার সময় প্লেনটি শক্তি হারিয়েছিল বলে মনে হয় না।”
শহীদ