ইরানবিরোধী যুদ্ধে জড়াবে না আজারবাইজান: কূটনৈতিক বার্তা

সম্প্রতি ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের সশস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে আজারবাইজান ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সংলাপ জোরদার হয়েছে। এই আলোচনার অংশ হিসেবে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বায়রামোভ এক টেলিফোন সংলাপে তার ইরানি সমকক্ষ আব্বাস আরাকচিকে আশ্বস্ত করেন—আজারবাইজান কখনোই নিজেদের ভূখণ্ড বা আকাশসীমা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে ইরানের বিরুদ্ধে, ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না।

বায়রামোভ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডারদের শাহাদতের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তার দেশের পররাষ্ট্রনীতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং কোনো আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হওয়ার সুযোগ নেই।

অপরদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি তীব্র ভাষায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানান এবং বলেন, “এই হামলা ছিল ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের একটি নগ্ন দৃষ্টান্ত।” তিনি আরও জানান, “ইরান বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে এর কঠিন জবাব দেবে।”

গত ১৩ জুন ভোররাতে ইসরায়েল তেহরানের আবাসিক অঞ্চলসহ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বহু সাধারণ মানুষ নিহত হন।

এই ঘটনার জেরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী এই অপরাধের মাধ্যমে নিজেদের জন্য এক যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি নিশ্চিত করেছে। তারা এর উপযুক্ত শাস্তি পাবে।”

এই ঘটনার পর আজারবাইজানের অবস্থান ইরানের জন্য কৌশলগত ও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ—এই বার্তাটি আজকের সংকটময় সময়ে আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।