ছবিঃ জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রশাসনিক বিভাজনের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ডুমুরিয়া ও রূদুরা গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। উপজেলা সদর ও সদর ইউনিয়ন কার্যালয়ের একেবারে নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও, এই দুটি গ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরের চাতরী ইউনিয়নের অধীনে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনোয়ারা সদর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরেই অবস্থিত ডুমুরিয়া-রূদুরা গ্রাম। তবুও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে প্রতিদিন চার কিলোমিটার দূরে চাতরী ইউনিয়নে যেতে হয় তাদের। এমন অযৌক্তিক ও দুর্ভোগপূর্ণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর দাবি, ডুমুরিয়া ও রূদুরা গ্রামকে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের আওতায় নিয়ে এলে নাগরিক সুবিধা গ্রহণ আরও সহজ হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে।
প্রশাসনিক এ বিভাজনের বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা। উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, জনমত গঠন এবং সমাবেশের মাধ্যমে দাবি তুলেছেন তারা। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে এসব কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। আগামীকাল রোববার এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি মানববন্ধন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
ডুমুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নজির হোসেন জানান, স্বাধীনতার আগে ডুমুরিয়া ও রূদুরা গ্রাম আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখনো যাতায়াতের জন্য সদর ইউনিয়নের ওপর নির্ভর করতে হয়। অথচ অজানা কারণে স্বাধীনতার পর এই দুই গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় দূরের চাতরী ইউনিয়নে।
তিনি আরও জানান, চাতরী যাওয়ার একমাত্র অভ্যন্তরীণ সড়ক বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী, যা জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে।
স্থানীয় সংগঠক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এই অযৌক্তিক বিভাজনের কারণে কষ্ট পাচ্ছে। সময় এসেছে, এই অবস্থা পাল্টানোর।
এলাকাবাসীর মতে, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে দুই গ্রামকে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করলেই নাগরিক সেবা সহজলভ্য হবে এবং দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
আলীম
