
জাতীয় সাংবাদিকতার এক প্রিয় ও পরিচিত মুখ ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক প্রয়াত হাবিবুর রহমান মিলন। একুশে পদকসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত এই গুণী সাংবাদিক ১৯৩৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
একজন দক্ষ সংগঠক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে তিনি নিজের মেধা, নিষ্ঠা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৌঁছে যান সাংবাদিকতার এক অনন্য উচ্চতায়।
জানা যায়, ১৯৬৩ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় যোগদানের মধ্য দিয়ে হাবিবুর রহমান মিলনের কর্মজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে বড় ভাই আহমেদুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাক-এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করলে, তিনি ওই পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইত্তেফাক-এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তৎকালীন সময়ে ‘ভিমরুল’ ছদ্মনামে লেখা তার কলামগুলো ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত।
তিনি ছিলেন ঐক্যবদ্ধ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও পিআইবি-এর চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রবীণ সদস্য।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। এছাড়াও তিনি পেয়েছেন—
- জাতির জনক পুরস্কার
- শহীদ সোহরাওয়ার্দী পুরস্কার
- বিএফইউজে পুরস্কার
- ব্যারিস্টার এ. রসুল স্বর্ণপদক
১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে তাকে কারাবরণও করতে হয়।
ব্যক্তিজীবনে হাবিবুর রহমান মিলন ছিলেন এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ের জনক।২০১৫ সালের ১৩ জুন রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তার বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবন আজও তরুণ সাংবাদিকদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
ফরিদ