
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই দায় অস্বীকার করলেও বাস্তবে তারা যে নীরব সহযোগিতা করেছে, তার প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এক বিস্ফোরক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানে হামলার ঠিক তিনদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সরবরাহ করে প্রায় ৩০০টি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন তখন প্রকাশ্যে জানায়, তারা ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় আগ্রহী। কিন্তু মার্কিন দুই কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে জানান, এতো বড় পরিমাণে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ থেকে ধারণা করা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন আগেই ইরান হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে জানত।
হেলফায়ার হলো লেজার-নির্দেশিত আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসে সক্ষম না হলেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে অত্যন্ত কার্যকর।
এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় ও প্রেক্ষাপট প্রয়োজন হয়—ইসরাইলের জন্য সেটি তখন উপযুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এপ্রিল ও মে মাসে সিআইএকে ইরানে একতরফা হামলা পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করা হয়। ইসরাইলের টার্গেট সিস্টেম বিশ্লেষণ, সাইবার আক্রমণ ও নিখুঁত হামলার কৌশল ট্রাম্প প্রশাসনকে মুগ্ধ করেছিল।
এক্সিওস-এর মতে, ট্রাম্প প্রশাসন হামলার বিরোধিতা করলেও তা ঠেকাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এই হামলার সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনা শুরু হয় ১২ এপ্রিল। আর হামলা চালানো হয় আলোচনা শুরুর ৬১তম দিনে। আলোচনার মূল বিরোধের বিষয় ছিল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। যুক্তরাষ্ট্র চায়, ইরান সম্পূর্ণরূপে এটি বন্ধ করুক, কিন্তু তেহরান জানিয়ে দেয়, স্বল্পমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তাদের জন্য অপরিহার্য।
মার্কিন দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কারণ এটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস অনুমোদিত ৭০৪ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তির অংশ ছিল। ওই চুক্তির আওতায় বোমা, ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অনুমোদন আগেই দেওয়া হয়েছিল।
ইমরান