
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে কথা বলার সময় সম্মত হয়েছেন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত। পুতিন ট্রাম্পকে তার ৭৯তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন। ওই ফোনালাপে তারা ইরান ও ইসরায়েল বিষয়ে আলোচনা করেন।
ট্রাম্প বলেছেন, পুতিন মনে করেন এই যুদ্ধে শেষ হওয়া উচিত, আর ট্রাম্পও একই মত পোষণ করেন। ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়োজিত থাকার বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি, সেটা তারা পরে দেখবেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দি বিনিময় হচ্ছে।
বিশ্বে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বাড়ছে বলে সবাই চিন্তিত। গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের জায়গায় বড় ধরনের হামলা চালায়। মস্কো এই হামলার বিরোধিতা করেছে এবং কিয়েভ আশঙ্কা করছে যে, এই পরিস্থিতির কারণে আমেরিকা ইউক্রেন থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, ২২শে জুনের পর যখন বন্দিদের আদান-প্রদান শেষ হবে তখন তারা ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন শান্তি আলোচনা শুরু করতে চান। এই ফোনালাপ তাদের মধ্যে পঞ্চম।
ক্রেমলিনের বক্তব্য, দুই নেতা ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বন্দি ও মৃতদেহ বিনিময় করে চলেছে। তারা একে অপরের বন্দিদের ফেরত দিচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, বন্দি বিনিময় শেষ হলে পরবর্তী আলোচনা হবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কারনে আমেরিকার সাহায্য কমতে পারে। তিনি চাচ্ছেন, ইউক্রেনের সহায়তা কমানো না হয়।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া আগ্রাসক এবং তারা যুদ্ধ শুরু করেছে। ইউক্রেনকে রাশিয়ার সমপর্যায়ে দেখানো উচিত নয়।
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সুমি এলাকায় রাশিয়া আক্রমণ চালাচ্ছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী সেখানে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।
রাশিয়া সুমি এলাকায় একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি করতে চায় যাতে তাদের কুরস্ক অঞ্চল নিরাপদ থাকে। রুশ সেনা প্রায় ৫৩,০০০ জন সেখানে রয়েছে।
ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তারা ভেবে দেখছে, যদি আমেরিকা ইউক্রেনকে কম সাহায্য দেয় তাহলে তারা কী করবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.