
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৩১ মে) ক্যাম্পাস এলাকায় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদারের নেতৃত্বে নানা প্রজাতির গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এবং তার পরিবেশবান্ধব চিন্তা থেকে এই আয়োজন করা হয়েছে।
যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ বলেন, "রাজনীতি শুধু মিছিল কিংবা স্লোগানে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজ ও ভবিষ্যতের জন্য বাস্তব কিছু করতে চাই বলেই গাছ রোপণের মাধ্যমে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। এটি হয়তো ছোট উদ্যোগ, কিন্তু পরিবর্তনের বীজ তো এখানেই।"
ছাত্রদল নেতা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, "শহীদ জিয়ার আদর্শ আমাদের নৈতিক শক্তির উৎস। শাহাদাতবার্ষিকীতে গাছ লাগিয়ে আমরা শুধু শ্রদ্ধা জানাইনি, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধের বীজও বপন করেছি।"
কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, "প্রকৃতিকে ভালোবাসা, মানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু রেখে যাওয়া। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেষ্ট। রাজনীতি হোক মানুষের উপকারের জন্য আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।"
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা এই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে চাই।
এবারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির প্রতিপাদ্য ছিল "প্রকৃতিকে বাঁচাও, সবুজকে সাজাও দেশকে গড়ো, জীবনকে ভালোবাসো। বৃক্ষরোপণ করো, পরিবেশ রক্ষা করো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ো।”
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল প্রতি বছর নানা সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে, যার মধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অন্যতম।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন সৌরভ, ফারুক রানা, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ইয়াসির আরাফাত, রায়হান হোসেন অপু, রবিন মিয়া শাওন ও মেহেদী হাসান। এছাড়া অংশ নেন ছাত্রদল সদস্য মেহেদী হাসান ইমন, সজিব আহসান, মাশফিকুল ইসলাম রাইন, মিঠু আলী, রেদোয়ান চৌধুরী, তানভীর ইভান, মাহমুদুল হাসান নাইম এবং কর্মী আশরাফুল ইসলাম, সৈরভ আহমেদ, আকরাম খান, আবু হুরাইয়া মোবাশ্বের, শাহরুল প্রমুখ।
Mily