
ছবি: সংগৃহীত।
দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের ব্যবহার। মোবাইল ফোনের মতোই এই মিটারেও আগেই টাকা রিচার্জ করতে হয়। টাকা থাকলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, না থাকলে সংযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এতে জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিমাণে 'লোন' সুবিধাও রাখা হয়েছে।
তবে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক গ্রাহক নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে অভিযোগ রয়েছে, টাকা রিচার্জ করার পর তা অস্বাভাবিক দ্রুত কেটে যাচ্ছে। এতে অনেকেই হতাশ ও বিরক্ত হচ্ছেন।
সমাধানের উপায় কী?
এই সমস্যা সমাধানে গ্রাহকদের কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন:
১. মিটারে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না তা যাচাই
- প্রথমে দেখে নিন মিটারে কত টাকা আছে। এরপর বাসার সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম—যেমন লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ ইত্যাদি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখুন।
- এরপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে পুনরায় মিটারে দেখে নিন ব্যালান্স ঠিক আছে কি না। যদি টাকা কেটে যায়, তাহলে বুঝতে হবে মিটারে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে।
সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানিয়ে মিটার পরিবর্তনের দাবি জানানো উচিত।
২. মিটারের ইউনিট ও চার্জ যাচাই করা
যদি যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকে, তবে আপনার মিটারের ইউনিট, চার্জিং রেট এবং ধারণক্ষমতা যাচাই করুন। প্রতিটি মিটারে নির্দিষ্ট ইউনিট ব্যবহারের ভিত্তিতে চার্জ ধাপে ধাপে বাড়ে।
- সাধারণত প্রথম ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত এক রকম দাম,
- ১৫০ ইউনিট পার হলে বাড়তি চার্জ,
৩০০ ইউনিটের বেশি হলে মিটার বাণিজ্যিক হারে চার্জ শুরু করে, যা অনেক বেশি।
৩. মিটার ক্যাপাসিটি বুঝে ব্যাবহার
২ কিলোওয়াট এবং ৪ কিলোওয়াটের মিটারে ইউনিট চার্জের পার্থক্য থাকে। বড় ক্ষমতার মিটারে বেশি ইউনিট খরচ হয়, ফলে দ্রুত টাকা কেটে যায়।
৪. ডাবল মিটার ব্যবহার করুন
অনেক গ্রাহক বেশি ইউনিট খরচ এড়াতে একই বাসায় দুটি মিটার ব্যবহার করেন। এতে করে একটিতে ৭৫ বা ১৫০ ইউনিটের সীমা পার না হওয়ায় তুলনামূলক কম খরচ হয়।
প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেকেই হিসাবের বাইরে খরচের শিকার হচ্ছেন। পরিকল্পিত ব্যবহারের পাশাপাশি মিটারের চার্জিং স্ল্যাব সম্পর্কে সচেতন থাকলে অযাচিত বিল থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
নুসরাত