
ছবি: জনকন্ঠ
তিন পুরুষের ব্যবসা পাবনার ''লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার"। ১৯১৪ সালে পাবনা জজ কোর্টের পাশে ছোট পরিসরে শুরু করে। পরবর্তীতে পাবনা শহরের রায়ের বাজারে লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বড় পরিসরে যাত্রা শুরু। লক্ষ্মীর রসগোল্লা, প্যারা, চমচম, ইলিশ পেটি, দই, ঘি জেলাসহ দেশের ও দেশের বাইরে পাবনার মানুষদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সুনাম ৷ পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রায়ের বাজারে লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠা করেন লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষ।
প্রায় ১১৫ বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষের মৃত্যুর পর লক্ষ্মীর হাল ধরেন তার ছেলে নিমাই চন্দ্র ঘোষ।তৎকালীন রাজনৈতিক আঁতুড়ঘর হিসাবে পরিচিতি লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার।
জেলা শহরে আগাত সকল শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী, ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের কাজ কর্ম শেষ করে লক্ষ্মীর রসগোল্লা, প্যারা খেয়ে তৃপ্তি মিটিয়ে বাসায় ফিরে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মোতালেব হোসেন নামের এক যুবক বলেন," আমার বাসা পাবনা সুজানগর উপজেলায় আমি শহরে একটি কাজে এসেছি কাজ শেষে লক্ষ্মীর রসগোল্লা ও প্যারা খেয়ে সারাদিনের ক্লান্তি শেষ করে বাসায় ফিরব।"
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মৃত নিমাই চন্দ্র ঘোষের ছেলে দীপ্ত কুমার ঘোষ (৩৯) বলেন," আমাদের রায়ের বাজার, রবিউল মার্কেট ও পাবনা বাস টার্মিনাল তিনটি দোকান ও কারখানা মিলে ২০ জন কর্মচারী কাজ করছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসগোল্লা, প্যারা, চমচম, ইলিশ পেটি, দই, ঘিয়ের সুনাম ছড়িয়ে আছে।"
বর্তমান লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষের ছেলে ভোলানাথ ঘোষ (৭৩), অনুপ কুমার ঘোষ (৬৮) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।
Mily