
সংগৃহীত
বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য খুশির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম আরও কমে যাচ্ছে।
বিটিআরসি জানায়, সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (আইএসপি)-এর জন্য নতুন ইন্টারনেট দাম (ট্যারিফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ট্যারিফ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদন পেয়েছে এবং এটি ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
নতুন ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম হবে:
- ৫ এমবিপিএস: আগে ৫০০ টাকা, এখন ৪০০ টাকা
- ১০ এমবিপিএস: আগে ৮০০ টাকা, এখন ৭০০ টাকা
- ২০ এমবিপিএস: আগে ১২০০ টাকা, এখন ১১০০ টাকা
এই নতুন দাম পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাজার পরিস্থিতি বা গ্রাহকের সুবিধা অনুযায়ী বিটিআরসি ভবিষ্যতে এটি পরিবর্তন করতে পারবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১. ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে গ্রাহক ছাড় পাবে:
- যদি একটানা ৫ দিন ইন্টারনেট না থাকে, মাসিক বিলের ৫০% ছাড়।
- ১০ দিন না থাকলে ২৫% বিল দিতে হবে।
- ১৫ দিন না থাকলে ওই মাসে কোনো বিল দিতে হবে না।
২. সেবার মান (কোয়ালিটি) বজায় রাখা বাধ্যতামূলক:
- প্রতিটি আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকদের ভালো মানের সেবা দিতে হবে।
৩. সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে:
- কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে নতুন সেবা দিতে পারবে না, অনুমোদন ছাড়া নয়।
৪. সর্বনিম্ন স্পিড থাকবে ৫ এমবিপিএস:
- আর সংযোগ রেশিও হবে ১:৮ (মানে ৮ জনে ভাগ করে একটি সংযোগ)।
৫. অনুমোদিত দাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে:
- আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ওয়েবসাইটে বিটিআরসি অনুমোদিত ইন্টারনেট প্যাকেজের তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
৬. নিয়ম ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে:
- কেউ অনুমোদন ছাড়া অন্য কোনো সেবা চালু করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সব মিলিয়ে, বিটিআরসির এই নতুন সিদ্ধান্ত ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলাও আরও গতিশীল হবে।
হ্যাপী