ঠাকুরগাঁও, যেখানে শত বছরের ইতিহাস আর সীমান্ত ব্যবসার গল্প মিশে আছে। এখানে এখনো আকাশপথ এক ধরনের স্বপ্ন, যেটা বাস্তবে পরিণত হওয়ার অপেক্ষায়।
১৯৭০-এর দশকে নির্মিত একটি ছোট বিমানবন্দর ছিল ঠাকুরগাঁওয়ে। তখনো সরকারি কাজে ব্যবহার হতো, সামরিক বিমানও অবতরণ করতো। কিন্তু এখন সে জায়গাটা পরিত্যক্ত, ঝোপঝাড় আর ধূলায় ঢাকা পড়ে আছে।
স্থানীয়রা আজও সেই দিনের কথা স্মরণ করেন।
“আমাদের গ্রামে ছোটবেলাতেই প্লেন দেখা হতো, এখন শুধু স্মৃতির পাতায়” — এক প্রবীণ ব্যক্তি বললেন।
ঢাকা যেতে বাস বা ট্রেনে আজ ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগে। অনেকের জীবন এই দীর্ঘ পথেই নষ্ট হয়।
বাজারগামী ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থী, চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী—সবাই চায় দ্রুত, আরামদায়ক যাতায়াত।
একজন ব্যবসায়ী জানান,
“আমরা চাই, বিমান ওঠা-নামার ব্যবস্থা হলে ব্যবসায় অনেক সুবিধা হবে, সময়ও বাঁচবে।”
সরকার বলেছে, বিমানবন্দর নিয়ে কাজ চলছে, জরিপও হয়েছে। তবে বাস্তবে কিছু হয়নি এখনও।
ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ এখনো আশা করে,
একদিন এই পুরনো রানওয়ে আবার প্রাণ পাবে। আকাশপথ খুলবে, স্বপ্নগুলো বাস্তবে পরিণত হবে।
মুমু
