
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বারাহির চর গ্রামে একটি প্রাচীন বটগাছ শত বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বটগাছটি প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো। বিশাল আকারের এই বৃক্ষটির শাখাপ্রশাখা মাটির সঙ্গে তৈরি করেছে এক নিবিড় সম্পর্ক। গাছের নিচে তৈরি হয়েছে শীতল ছায়া, আর আশপাশ জুড়ে পাখির কলকাকলিতে সৃষ্টি হয় এক প্রাকৃতিক পরিবেশ। ইস্কুল সংলগ্ন এ গাছটি স্থানীয়দের কাছে একটি পরিচিত বিশ্রামের জায়গা।
গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মেগা মিয়া (৮০) বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই এই গাছটাকে দেখে আসছি। গ্রামের ছোট-বড় সবাই গরমে কাহিল হয়ে এই ছায়ায় এসে একটু বসে বিশ্রাম নেয়।’
গাছটির ডালপালা এতোটা বিস্তৃত যে, দূর থেকে তাকালেই মনে হয়, এটি যেন পরম মমতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। শিশুরা এ গাছের নিচে দল বেঁধে খেলাধুলা করে। এটিই তাদের প্রধান খেলার স্থান।
এ বটগাছকে ঘিরে নানা লোককথাও প্রচলিত রয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এ গাছে ভূত থাকে। কেউ গাছের পাতা বা ডালপালা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে তার গায়ে জ্বর আসে। গাছের নিচে প্রস্রাব বা মলত্যাগ করলে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও প্রচলিত। এ কারণে গাছের নিচে সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন।
৭০ বছরের বৃদ্ধা মোতালেব বলেন, ‘এই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হলে, দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই বটগাছ দেখতে আসত।’
স্থানীয়রা মনে করেন, একটু প্রচার আর অবকাঠামো উন্নয়ন হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই স্মৃতিবহ বৃক্ষটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে ছোটখাটো পর্যটন কেন্দ্রও।
পৃথী