
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
বান্দরবান শহরের কোলজুড়ে বয়ে চলা একমাত্র ম্যাক্সি খালটি চলে গেছে অবৈধ স্থাপনার দখলে। এতে করে মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই খালটির দখল করে বসতবাড়ি দালান কোঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠার কারণে খালটি বর্তমানে নালায় পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান শহরের পানি প্রবাহের একমাত্র ম্যাক্সি খালটি এখন প্রভাব শালী মহলের ইন্ধনে দিন দিন আরো বাড়ছে অবৈধ দখল। প্রতিনিয়ত এই খালটি দখল করে গড়ে উঠেছে নিত্যনতুন দালান কোটা ও ব্যাঙের ছাতার মতো ঘরবাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান না চালালে অস্তিত্ব হারাতে পারে শহরের একমাত্র খালটি।
স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান শহরের বুক চিড়ে প্রবাহিত হয়ে খালটি মিশেছে সাঙ্গু নদীতে। আর্মি পাড়া, মেম্বার পাড়া, ওয়াবদা ব্রিজ, নোয়াপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় খালের দুপাড় দখল করে নানা স্থাপনা তৈরি করে বসবাস ও ব্যবসা করে আসছে প্রভাবশালী মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘খালটি দখলের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানার পরও কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে খালটি। সামান্য বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ভোগান্তি পোহাতে হয় পৌরবাসীর।’
এদিকে, অবৈধ দখলের ফলে খালটির গতিপথ ছোট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা কমে গেছে। এছাড়া, গেল দুই দশক ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ম্যাক্সি খালের দুপাশে গড়ে উঠেছে হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, ‘মেক্সিখাল অবৈধভাবে দখলের কারণে শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। খালটি দখল করা বসবাসকারীদের একটি তালিকা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে হালনাগাদ করা হচ্ছে। হালনাগাদ শেষে জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিবেন এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, খালটি যারা অবৈধ দখলে গেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্টটা পাওয়া মাত্রই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে অতিসত্বর তারা উচ্ছেদ কার্যক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
মিরাজ খান