ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ত্রিশালের বুকে ‘বাংলার শান্তিনিকেতন’ গড়ার ঘোষণা উপাচার্যের

রইসুল আরাফাত, জাককানইবি

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২৫ মে ২০২৫

ত্রিশালের বুকে ‘বাংলার শান্তিনিকেতন’ গড়ার ঘোষণা উপাচার্যের

‘মোরা বন্ধন-হীন জন্ম-স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ১২৬তম নজরুল জয়ন্তী উদযাপন-২০২৫। রবিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় নজরুল ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজনের সূচনা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মুক্তমঞ্চে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অল্প সময়ে অসংখ্য রচনা উপহার দিয়েছেন। তাঁর লেখা আমাদের সাহস, দ্রোহ ও ভালোবাসার প্রতীক।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থের জন্য ইউজিসির কাছে দাবি করে, আমরা সরকারের কাছে চাই। সরকার বলে অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।

উপাচার্য বলেন, “ত্রিশালের সন্তান কবি নজরুলের স্মৃতিকে ধারণ করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘নজরুল নিকেতন’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সরকারের সহযোগিতা থাকলে একদিন এখানেই গড়ে উঠবে বাংলার শান্তিনিকেতন।”

আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বইমেলা। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক নজরুল বক্তৃতামালা-২০২৫। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষক-গবেষকরা অংশ নেন এবং পাঁচটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সন্ধ্যায় ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সেখানে আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মিমিয়া

×