ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুষ্টিয়ায় কৃষক দলের আহ্বায়ক পদে আওয়ামী লীগ নেতা! 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২২ মে ২০২৫

কুষ্টিয়ায় কৃষক দলের আহ্বায়ক পদে আওয়ামী লীগ নেতা! 

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, গত সোমবার (১৯ মে) কুমারখালী উপজেলা কৃষকদের প্যাডে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করা হয়। 

সেখানে আহ্বায়ক করা হয়েছে কয়া ইউনিয়নের চর বানিয়াপাড়ার আক্তার হোসেনকে। কমিটি প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, কৃষক দলের কয়া ইউনিয়নের আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়েছেন। অথচ তিনি রাতারাতি বড় একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক পদে চলে গেলেন।

তবে ইতোমধ্যেই আহ্বায়ক আক্তার হোসেনকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাব জর্জ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রাসেল হোসেন আরজু, শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, জেলা তাঁতী লীগ নেতা বাবলু, কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি নিজামুল হক চুন্নু, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তুষারের সাথে একাধিক আওয়ামী লীগের প্রোগামে অংশগ্রহণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ সকল আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের ছাত্র জনতাকে হত্যা ও হামলার মামলা রয়েছে।

কমিটি প্রদানের বিষয়ে উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতা জানান, “কয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের কমিটিতে সরাসরি আওয়ামী লীগ কর্মীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে এটা দলের জন্য হুমকি আমি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে তদন্তপূর্বক উক্ত কমিটি বাতিলসহ জড়িতদের সাংগঠনিক শাস্তির দাবি করছি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, “কয়া কৃষক দলের নেতাকে আহ্বায়ক কমিটিতে সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাকে আহ্বায়ক করা সত্যিই দুঃখজনক এখানে অর্থনৈতিক লেনদেন ঘটতে পারে। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হয়।”  

দেশের রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতিতে একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা কীভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন কৃষক দলে স্থান পেলো প্রশ্ন ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড় ।

মিরাজ খান

×