ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী ফটিকছড়ির শ্রমিক জেসমিন পেলেন জাতীয় পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি:

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২২ মে ২০২৫

শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী ফটিকছড়ির শ্রমিক জেসমিন পেলেন জাতীয় পুরস্কার

২০২৫ সালের ৫ম জাতীয় চা দিবসে দেশের শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী শ্রমিক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নেপচুন চা বাগানের শ্রমিক জেসমিন আক্তার।

বুধবার (২১ মে) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের হাত থেকে তিনি এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

জেসমিন আক্তার এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার জাতীয় পর্যায়ে সেরা চা শ্রমিক হিসেবে পুরস্কৃত হলেন। এর ফলে এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের নেপচুন চা বাগান টানা তিন বছর ধরে ‘শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী’ (শ্রমিক ক্যাটাগরিতে) পুরস্কার ধরে রাখলো। এর আগে ২০২২ সালে এ পুরস্কার পেয়েছিলেন একই বাগানের উপলক্ষী ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবেও বক্তব্য দেন জেসমিন আক্তার।

নেপচুন চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে ফটিকছড়ির পাহাড়ি-সমতল এলাকায় ২৭০০ একর জমিতে বাগানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার এবং ২০২০ সালে ‘গ্রীন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে নেপচুন চা বাগান।

চা উত্তোলনে ধারাবাহিক কৃতিত্বের জন্য জেসমিন আক্তার ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও জাতীয় পর্যায়ে সেরা শ্রমিক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে তিনি এক বছরে মোট ৩৪,৯৩৭ কেজি চা পাতা উত্তোলন করেন।

এ বিষয়ে জেসমিন বলেন, “আমি গত ৪২ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সঙ্গে এই বাগানে কাজ করছি। দেশসেরা হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমাদের পরিবারের ৮ সদস্যই নেপচুন চা বাগানে কর্মরত।”

নেপচুন চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “সারা দেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে আমাদের বাগান থেকে টানা তিনবার সেরা চা শ্রমিক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্বিত।”

সম্প্রতি হালদাভেলী চা বাগানে তিনটি বাগানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ওপেন চা পাতা উত্তোলন প্রতিযোগিতায়ও জেসমিন প্রথম হন। সেখানে তিনি মাত্র ৩০ মিনিটে ১৩২৫০ কেজি চা পাতা উত্তোলন করে নজরকাড়া সাফল্য দেখান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “চা শিল্পে শুল্ক-করের অব্যবস্থাপনা রোধে সরকার কাজ করছে। অর্গানিক চা, ব্র্যান্ডিং এবং রপ্তানি কৌশলের উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নেও সরকার সচেষ্ট।”

নুসরাত

×