ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খোকসা-ওসমানপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে ঘটবে বাণিজ্যিক প্রসার

পুলক সরকার, খোকসা, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২২ মে ২০২৫

খোকসা-ওসমানপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে ঘটবে বাণিজ্যিক প্রসার

কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে মাগুরা, ঝিনাইদহ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আর পদ্মার ওপারে পাবনার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ গড়তে এবং বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে গড়াই নদীর উপর জানিপুর-ওসমানপুর ঘাটে সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দিন বদলের আশায় দুই উপজেলার ছয় ইউনিয়নের লাখো মানুষ। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।

গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বহু দিনের প্রত্যাশিত জানিপুর-ওসমানপুর ঘাটে সেতুটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক। বছর গড়ালেও সেতুটির নির্মাণের কোনো কাজই দৃশ্যমান হয়নি।

কুষ্টিয়া তালবাড়িয়া থেকে পদ্মার শাখা হিসেবে গড়াই নদী গেছে ফরিদপুর হয়ে ভাটিতে বঙ্গপোসাগরে। খোকসা থেকে উজানে কুমারখালী ও ভাটি অঞ্চলের কামারখালীতে ব্রিজ নির্মাণ হলেও মধ্যবর্তী ৩০ কিলোমিটার মধ্যে নেই কোনো সেতু। এতে কৃষি পণ্য পরিবহণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বেশ ক'টি উপজেলার মানুষের যোগাযোগও হচ্ছে ব্যাহত।

খোকসা জানিপুর বাজার থেকে ওসমানপুর পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ হলে মাগুরা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার মানুষের মধ্যে গড়ে উঠত সহজ যোগাযোগ।

এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করবে। এছাড়াও, কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি ঢাকা, খুলনা, মাগুরা ও অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাবে। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় একপাশ যেমন হয়েছে আলোকিত তেমনি অন্য পারের মানুষ আছে অন্ধকারে।

ওসমানপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার ব্যবস্থা নেই। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি তার।

কোমড়ভোগ গ্রামের আজমল হোসেন বলেন, আমাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে হয় খোকসা বাজারে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে আমাদের ফসল ক্ষেত থেকেই বিক্রি করতে পারব। এতে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হব। 

জানিপুরের মো. চান্নু মোল্লা বলেন, আমাদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জরুরি রোগী হলে ভোগান্তির শেষ নেই। নৌকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যায়। এছাড়াও পারাপারের জন্য স্কুল কলেজে সময়মতো পৌঁছাতে পারে না। 

কুষ্টিয়া এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্রিজটির একনেকে অনুমোদন করা হয়েছে। ডিজাইন করাও হয়েছে। টেন্ডারের পর শুরু হবে নির্মাণ কাজ।

সজিব

×