ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ছয় মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ, ১৩ বছর বয়সে কোরআনের হাফেজ 

শাকিল আহমেদ, রংপুর 

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২২ মে ২০২৫

ছয় মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ, ১৩ বছর বয়সে কোরআনের হাফেজ 

তেরো বছর বয়সে ছয় মাসেই পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন শিশু শরিফুল ইসলাম।  

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের ঈদুলপুর গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের পুত্র শরিফুল ইসলাম (১৩) মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কুরআন মাজিদ ৩০ পারা মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীকে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের প্রশংসায় ভাসছে ১৩ বছর বয়সী হাফেজ শরিফুল ইসলাম।

পরিবারের কাছে থেকে জানা যায়, যখন শরিফুলের বয়স মাত্র সাত বছর তখনই তার বাবা মারা যান, পরবর্তীতে মা চলে যান নতুন সংসারে। বাবার মৃত্যুর এবং মা চলে যাওয়ার পর শরিফুলের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। ঠিক সেই সময়ে দারুত তাকওয়া মডেল মাদ্রাসার পরিচালক মুফতী হাসান আহমেদ আফেন্দী  শিশু শফিকুলের পাশে দাঁড়ান। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত দারুত তাকওয়া মডেল মাদ্রাসায় মুফতী হাসান আহমেদ আফেন্দী সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খরচে শরিফুলের পড়ালেখার দায়িত্ব নেন। তার এই মহানুভবতার ফলস্বরূপ মেধাবী শরিফুল মাত্র ছয় মাসে স্বল্প  সময়ে ত্রিশ পারা পবিত্র কোরআন মাজিদ মুখস্থ  করতে সক্ষম হয়।

হাফেজ শরিফুল ইসলাম বর্তমানে উপজেলার জায়গীরহাট পুরাতন গরুহাটি সংলগ্ন দারুত তাকওয়া মডেল মাদ্রাসার একজন ছাত্র। তার এই অসাধারণ অর্জন মাদ্রাসা এবং এলাকার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। শরিফুলের এই সাফল্যে এলাকাবাসী উচ্ছ্বসিত এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করছেন। তার এই ঘটনা নিঃসন্দেহে অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দারুত তাকওয়া মডেল মাদ্রাসায় মুফতী হাসান আহমেদ আফেন্দী বলেন, আমি শরিফুলের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তার এই সাফল্যে দারুত তাকওয়া মডেল মাদ্রাসায় নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমি তার জীবনে সর্বোচ্চ সাফল্য কারণে করছি।

শরিফুল ইসলামের এখন স্বপ্ন, বড় হয়ে একজন আলেম ও ইসলামের খাদেম হতে চায়। 

সজিব

×