
ছবি : সংগৃহীত
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারকে গণহত্যার বিচারের মূল উদ্দেশ্যকে হালকা করার প্রয়াস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
রবিবার (১৯ মে) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে তিনি লিখেছেন, “নুসরাত ফরিয়াদের গ্রেফতার করে মূলত গণহত্যার বিচারকে হালকা করা হচ্ছে। যদি নুসরাত ফারিয়ার মতো কাউকে গ্রেফতার করা হয়, তবে একইভাবে অভিনেত্রী তিশা কিংবা সারা জীবন আওয়ামী লীগের সুবিধা নেওয়া ফারুকীকেও গ্রেফতার হওয়ার কথা। কিন্তু সেসবের কিছুই হচ্ছে না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ডামি ৩০০ এমপিদের গ্রেফতারের কোনো খবর নেই, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেই। বরং নুসরাত ফরিয়াদের গ্রেফতার করে একটি হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।”
রাশেদ খান আরও বলেন, “যেখানে স্বয়ং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর লুটপাটের সম্পদের পাহারা দিচ্ছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানার স্বামী আবু বক সিদ্দিক সাহেব! সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও আফসান চৌধুরীর জামিন তদবির করেছেন এই রেজওয়ানারা। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন শেখ মুজিবপ্রেমী আলী ইমাম মজুমদারের মতো ব্যক্তিরাও।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সরকার এখন ডাকাত না ধরে ছিঁচকে চোর ধরার কাজে ব্যস্ত। আর সেই ডাকাতদের দেওয়া হচ্ছে ‘সেইফ এক্সিট’ ও প্রোটেকশন।”
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ থাকতো, তবে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তদন্ত চালানো যেত। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত রাঘববোয়ালদের ছেড়ে ছিঁচকে চোরদের ধরে জনমনে হৈচৈ তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে।”
রাশেদ খান তার বক্তব্যে সরাসরি অভিযোগ করেন, “গণহত্যার বিচার ও গণদাবিকে নরমালাইজ বা গুরুত্বহীন করে তোলার জন্যই সরকার এই ‘ফাতরামো’ শুরু করেছে।”
আঁখি