
নেত্রকোনা থেকে ৫৬৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টেকনাফের শাহপরী দ্বীপে পালিয়েও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ এড়াতে পারেনি হত্যা মামলার আসামী কাকন মিয়া (২৮)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ন’টার দিকে র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) ও র্যাব-১৫ (সিপিসি-১) এর যৌথ আভিযানিক দলের হাতে ধরা পড়ে সে। শুক্রবার ( ১৬ মে) বিকেলে তাকে নেত্রকোনার মদন থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেফতার কাকন মদন উপজেলার মাহড়া ফকিরবাড়ি গ্রামের মাজহারুল ইসলাম মাজু হত্যার অন্যতম আসামী। সে ওই উপজেলার নায়েকপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আলাল খাঁর ছেলে। র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, মাজহারুল ইসলাম মাজুর সঙ্গে একই গ্রামের রতন ফকিরসহ অন্যান্য আসামীদের পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। গত ২৯ মার্চ রাতে তিনি স্থানীয় সিংহেরবাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি কাঁচা রাস্তায় পৌঁছামাত্রই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল সকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাজুর ছোটভাই আজিজুল ফকির মদন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামীরা গা ঢাকা দেয়। গত রবিবার র্যাব আসামী রতন ফরিকরকেও কেন্দুয়া থেকে গ্রেফতার করে।
নোভা