ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উড্ডয়নের পর বিমানের চাকা কক্সবাজারের ন্যায় আট বছর আগে সৈয়দপুরেও খুলে পড়েছিল

তাহমিন হক ববী, স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী।

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৬ মে ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪০, ১৬ মে ২০২৫

উড্ডয়নের পর বিমানের চাকা কক্সবাজারের ন্যায় আট বছর আগে সৈয়দপুরেও খুলে পড়েছিল

কক্সবাজারে উড্ডয়নের পর যাত্রীবাহি বিমানের চাকা খুলে পড়ার এমন ঘটনা গত আট বছর আগে আরেকবার ঘটেছিল নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। সেই সময়  যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকায় অবতরন করেছিলেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে বিমান বাংলাদেশের একটি ফাইট। উড্ডয়নের মাঝ আকাশে চাকা খুলে যায়। বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে দুপুর ২টা ২২ মিনিটে।ফ্লাইটটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিলেন।

শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর দুইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।


এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর বুধবার একই ঘটনা ঘটেছিল নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই খুলে পড়েছিল বিমানের পেছনের একটি চাকা। ওই সময় ঢাকা থেকে বিজি-৪৯৪ ফাইটটি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে নামে। ফিরতি ফ্লাইটে ৬৬ যাত্রী নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পরপরই বিমানের পেছনের একটি চাকা খুলে রানওয়ের বাইরে ডোবায় পড়ে যায়। যা সৈয়দপুরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেনকে চাকা খুলে পড়ার বিষয়টি জানানো হয়। ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন আতিক ও ফার্স্ট অফিসার ইয়ামিন তখন ঢাকায় ইর্মাজেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

সে অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার আকাশে এসে ক্যাপ্টেন আতিক একবার উড়োজাহাজের উচ্চতা কমিয়ে বিমানবন্দরের ওপরে চক্কর দেন। সে সময় তাকে জানানো হয়, উড়োজাহাজের পেছনের ডানপাশের ৪ নম্বর চাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষে ক্যাপ্টেন আতিক নিরাপদে ও সফলভাবে ফ্লাইট অবতরণ করান। আরোহীদের সবাই নিরাপদ ও অক্ষত ছিলেন। এছাড়া উড়োজাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। সেদিন ওই ফ্লাইটে ৬৬ জন যাত্রীর পাশাপাশি দুইজন কেবিন ক্রু, একজন গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এবং দুইজন পাইলট ছিলেন।


শুক্রবারে কক্সবাজারে বিমাবন্দরের এমন ঘটনায় নীলফামারী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেদিন ওই বিমানের যাত্রী নীলফামারীর জুলফিকার আলী (৬৫) জানান, আজকে কক্সবাজারের বিমানের চাকা খুলে পড়ার ঘটনাটি জানার পর আমার আট বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল। সেই ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর। দিনটি ছিল বুধবার। সৈয়দপুরে বিমানটি উড্ডয়নের পরপর চাকা খুলে পড়ে। যখন পাইলট ঘোষণা দিয়ে বিমানে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি জানালে তখন ভেবেই নিয়েছিলাম আর বেঁচে থাকার পথ নেই।


আকাশে মোবাইলে নেট নাই। বাহিরে কি হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছিলাম। চারিদিকে আতঙ্ক। পরিবার পরিজন চিন্তিত। পাইলট দক্ষতার সাথে সেদিন ঢাকায় অক্ষত অবস্থায় অবতরণ করিয়েছিলেন বলে আজও বেঁচে আছি।

রিফাত

×