ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পোশাক শিল্পে জ্বালানি সংকট কমাতে এক’শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়বে জুনে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৬ মে ২০২৫; আপডেট: ০৭:৫০, ১৬ মে ২০২৫

পোশাক শিল্পে জ্বালানি সংকট কমাতে এক’শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়বে জুনে

ছবিঃ সংগৃহীত

রপ্তানিতে তৈরি পোশাকখাতের অবদান প্রায় ৮৪%। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হওয়ার পরও দিনের পর দিন অনেকটাই উপেক্ষিত এ খাত৷ প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এ খাত এখন ভুগছে জ্বালানি সংকটে। উদ্যোক্তারা আছেন নিরাপত্তাহীনতায়৷ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নানা সংকট থাকায় পোশাকখাতের সাফল্য রয়ে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। 

চলতি অর্থবছরের দশ মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩২৬৪ কোটি ডলার বা ৮১% এসেছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। যদিও উদ্যোক্তারা বলছেন, গেলো কয়েক বছর ধরেই পোশাকখাতে রয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। শুধু তাই নয়৷ জটিল কল কাঠামো, বন্দরের ধীরগতি ও শ্রমিক অসন্তোষ সহ নানা সংকট মোকাবিলা করেই এখনো দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক। 

তবে জুনের মধ্যে অন্তত এক'শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিতাস কর্তৃপক্ষ। 

নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাসে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয় গ্যাসের। তবে গত দুই সপ্তাহে মারাত্মক গ্যাসের সংকটে পড়েছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকখাতের কারখানাগুলো। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঙ্খিত গ্যাস মিলছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সরবরাহ বাড়াতে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর তাগিদ উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি গ্যাসের সিস্টেম লস কমানো সহ দুর্নীতি বন্ধেরও তাগিদ দেন তারা। 

এ বিষয়ে বিকেএমই এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এক পার্সেন্ট সিস্টেম লস কমানো গেলে তিতাসের এক হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি সেফ হয়। জ্বালানি মন্ত্রণালয় এলএনজি আমদানি করতে পারছে না। অর্থমন্ত্রণালয় টাকা দিচ্ছে না। আমরা বলছি যে, অতিরিক্ত দুইটা তিনটা জাহাজ আমদানি করতে যেই টাকা লাগে সেটা আমরা যোগান দেই। কারণ তিতাস তো আমাদের কাছ থেকে বিল নেয়। সেই বিলের টাকা টা আমরা অ্যাডভান্স দেই। 

তিতাস বলছে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না গ্যাস। জুনের মধ্যে সরবরাহ বাড়তে পারে এমন আশার কথা জানানো হয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ থেকে। এলএনজি এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ ও বাড়ছে বলে জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। 

মুমু

×