ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

মরিচের আবাদ বাড়লেও ফলন কম, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ১৩ মে ২০২৫

মরিচের আবাদ বাড়লেও ফলন কম, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা

পঞ্চগড়ে  বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লাল সোনা খ্যাত  মরিচ।  খেত থেকে তুলে মাঠে শুকানোর পর হয় শুকনো মরিচ। মশলা জাতীয় এই লাল সোনা খ্যাত শুকনো মরিচ সারাদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। 

পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকায় দিগন্ত জোড়া  খেতে এখন  পেকে রয়েছে পাকা লাল মরিচ। আর এই পাকা মরিচ খেত থেকে তুলে বাড়ির উঠানে ও বিস্তীর্ণ মাঠে  শুকাতে দিচ্ছেন।  এরপর কৃষক সেই শুকনো মরিচ ঘরে তুলছেন।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার মাটি মরিচ আবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় জেলায় সাত জাতের মরিচ চাষ হয়ে থাকে। সব থেকে বেশি চাষ হচ্ছে হটমাস্টার, বালু ঝড়ি ও বিন্দু জাতের মরিচ।

 সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার জগদল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠ থেকে কাঁচা মরিচ তুলে এবং তা মাঠে শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ চাষিরা। একই চিত্র অন্যান্য এলাকাতেও দেখা গেছে। 

স্থানীয় চাষীরা জানান, গত বছর মরিচ চাষ করে লাভ হওয়ায় এবার জমির পরিমাণ বাড়িয়েছি। তবে জমি বাড়লেও ফলন কম এসেছে। ওই এলাকার কয়েকজন   চাষি বলেন, আবাদ বাড়ালেও বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাপের কারণে এবার ফলন অনেক কম হয়েছে। অন্যদিকে শুকিয়ে বাজারে তোলার পর গত বছরের থেকে অনেক কম দাম পাচ্ছি। এতে আমাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে। 

চাষীরা মরিচের দাম কম পাওয়া নিয়ে বাজার  সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন।

আটোয়ারী বাজারে শুকনো মরিচ বিক্রি করতে আসা আবু বক্কর নামে এক চাষি বলেন, শুকনো মরিচের চাহিদা অনেক। এর মধ্যে আমরা বাজারে শুকনো মরিচ এনে বিপাকে পড়েছি। ব্যবসায়ীরা দাম অনেক কম দিচ্ছে। তারা সিন্ডিকেট শুরু করেছে।

তবে মরিচ ব্যবসায়ীরা এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৮ হাজা ৯৪০ হেক্টর। কিন্তু চাষীরা আবাদ করেছেন ৯ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে।

মুমু

আরো পড়ুন  

×