
নরসিংদীর পলাশে সাবেক সেনা কর্মকর্তার উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ৩ ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী র্যাব-১১। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী-১১ সিপিএসসি এর ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।
গ্রেপ্ততারকৃতরা হলেন পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ও অপসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. মোজাম্মেল হক। তিনি পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে পলাশ উপজেলার খানেপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘোড়াশাল সারকারখানা গেটের কাছে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ পথরোধ করে এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সাথে থাকা দুই সহযোগী আরিফ ও বাদশা তাকে জোরপূর্বক ধরে ফেলে। পরে অভিযুক্ত আমান উল্লাহ হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মোজাম্মেলের কপালের ওপর আঘাত করে। একই সময়ে অন্য দুইজন দেশীয় অস্ত্র ছুরি দিয়ে তার শরীরের নিচের অংশে একাধিক আঘাত করে গুরুতরভাবে আহত করে করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ভর্তি করা হয়।
ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভূইয়া বলেন, তারা ছাত্রদলের নেতা এ মর্মে লিখিত কোনো কমিটি জেলা ছাত্রদলের কাছে নেই। বিগত সময়ের আন্দোলনেও জেলা ছাত্রদলের সাথে তাদের কোনরকম সম্পৃক্ততা ছিল না। কেউ মৌখিকভাবে তাদের ছাত্রদল নেতার স্বীকৃতি দিয়ে থাকতে পারেন। তবে কারও অপকর্মের দায় সংগঠনের নয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন প্রয়োগকে জেলা ছাত্রদল উৎসাহিত করে।
নরসিংদীর র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম জানান, সাবেক সেনাকর্মকর্তাকে মারধর ও হামলার ঘটনায় ৩ জনকে সোমবার রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। কক্সবাজার পুলিশ তাদের পলাশ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবেন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি, সেটা মূখ্য নয়, অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজু