
ছবি: জনকণ্ঠ
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৯ মে ২০২৫ সন্ধ্যায় ধামরাই থানাধীন কালামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম এলাকার চাঞ্চল্যকর রুবেল মন্ডল (৪০) কে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা আমজাদ মন্ডল (৪৫) সহ সহযোগী জুয়েল (৩৬) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার এজাহার ও আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রুবেল মণ্ডল (৪০) আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার জনৈক নায়েব আলী মণ্ডলের ছেলে। ভিকটিম তার বড় ভাইয়ের সাথে মাছের ঘের, ঝুট ও বালুর ব্যবসা দেখাশোনা করতো। বেশ কিছু দিন যাবৎ বিবাদীদের সাথে মাছের ঘের নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ০৭ মে ২০২৫ সকালে রুবেল মন্ডলকে মাছের ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদের মীমাংসার কথা বলে বিবাদীরা আশুলিয়া থানাধীন পাড়াগ্রামের একটি অফিসে ডেকে নেয় এবং একই দিনে ভিকটিম রুবেল মন্ডল এর নিজ মাছের ঘেরের পাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে ভিকটিমের পরিবার ও আশুলিয়া থানাকে অবহিত করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকাণ্ডের জড়িত অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম এলাকার চাঞ্চল্যকর রুবেল মন্ডল (৪০) হত্যাকান্ডের নিম্নবর্ণিত আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করেঃ
ক। আমজাদ মন্ডল(৪৫), জেলা-ঢাকা।
খ। মোঃ জুয়েল (৩৬), জেলা-ঢাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাছের ঘের নিয়ে বিবাদের জেরে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এএইচএ