
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে সোনিয়া (২০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে মেয়ের পরিবারের পক্ষের দাবি সোনিয়াকে তার স্বামী হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনায় সোনিয়ার স্বামী শরীফ আহাম্মেদ (২২) কে এলাকাবাসীসহ নিহতের পরিবারের লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। আটকৃত মোঃ শরীফ আহমেদ (২২) উপজেলার ফুলবাড়ীয়া দক্ষিন পাড়া সলুর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে।
নিহত সোনিয়ার বাবা জানায়, আমার বড় মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২০) ৫ বছর পূর্বে উক্ত আসামির সাথে প্রেম করে বিবাহ করে। বিবাহের পর আসামির বাড়িতে বসবাস করে সংসার করে আসতেছিল। সংসার জীবনে আমার মেয়ের গর্ভে এক নাতী সিয়াম (৩) জম্ম গ্রহন করে। আসামি প্রায়ই আমার মেয়েকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করতো এবং প্রায়ই আমার মেয়েকে গলায় ফাঁস লটকাইয়া আত্বহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দিত। আসামি নেশা করত। আমার মেয়ে প্রায়ই আমাকে আসামির নির্যাতনের বিষয়ে ফোন করে বলতো।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ভাবে শালিশ দরবার হইছে। গত ৫ মে সকালে সংসারিক বিষয়াদি নিয়া আসামি আমার মেয়ের সাথে ঝগড়া করে আমার মেয়েকে মারধর করে এবং আমার মেয়েকে গলায় ফাঁস লটকাইয়া আত্বহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দেয়। বিষয়টি আমার মেয়ে ফোন করে আমার স্ত্রীকে জানায়। ৬ তারিখ রাতে অনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমার মেয়ে ও আসামি রাতে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে এবং ওই রাতেই অনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমার নাতী সিয়ামের (৩) ঘুম ভেঙ্গে গেলে চিৎকার দিয়া উঠলে শরীফ ঘুম হতে জেগে দেখে আমার মেয়ে ঘরের টিনের চালের সাথিরের সহিত ওড়না দিয়া ফাঁস লটকাইয়া আত্বহত্যা করে ঝুলতেছে।
নাতির ডাক চিৎকারে ওই বাড়ির লোকজনসহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে আমার মেয়েকে নীচে নামায়। তবে আমার দাবি শরীফ আমার মেয়েকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মোশারফ মৃধা (৫০) বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়ার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে বলা যাবে আত্মহত্যা নাকি হত্যা করা হয়েছে।
রিফাত