
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন পাকা ধানে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি। মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। তবে চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টির ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন উপজেলার কৃষকেরা। কিন্তু সব শঙ্কা ছাপিয়ে এবার বোরোর ভালো ফলন পেয়ে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার এনায়েতনগর ও গোপালপুরসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অর্ধিদপ্ত সুত্রে জানা গেছে, চলতী বছরে কৃষি বিভাগের আওতায় কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় প্রায় দশ হাজার ১শত ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারণা, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাবে কৃষকরা। দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠে শুধু ধান গাছ। দিগন্তজুড়ে সবুজ ধান পেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। ধান কাটছে কৃষকেরা। ভোর থেকে রাত অব্দি ক্ষেতের ফসল গোলায় তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছলেমান, জব্বার খলিল,উত্তম বাড়ৈ, বালিগ্রামের রিপন মোল্লা, নাসির মোল্লা, হিরমন মাঝি এনায়েতনগরের নাসির মিয়া, বিনয় মন্ডলসহ অনেকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও পরামর্শে চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কমকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা মাঠের ৪০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তুলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ধান ৮০ ভাগ পেকে গেলেই কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আসিফ