
ছবি: জনকন্ঠ
কুড়িগ্রামে জনবহুল এলাকায় ঝড়ে ভেঙ্গে একটি গাছ বিদ্যুতের তারে ঝুলে আছে ৬ দিন। পথচারী ও আশেপাশে দোকানিরা ঝুঁকিতে থাকলেও অপসারণে জন্য ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। দোকানিরা জেলা পরিশোধ ও বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও পায়নি কোন প্রতিকার।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে আধুনিক ট্রেইলার্সের সামনে রাস্তায় একটি কদম গাছ গত ২৬ এপ্রিল ঝড়ে ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। গাছ অর্ধনমিত হওয়ার কারণে ২ দিন যাবত বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ। ওই অবস্থায় গত ৪ দিন বিদ্যুৎ বিভাগ বিদুৎ সচল রেখেছে।
দোকানিরা জেলা পরিশোধ ও বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করে। কিন্তু তাদের কোন অভিযোগ কর্ণপাত করেনি এই দপ্তরগুলি।
জেলা পরিশোধ তাদের গাছ কর্তনের বাজেট নাই তাই গাছ কাটতে অপারগতা প্রকাশ করে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো), কুড়িগ্রাম তাদের লোকজন সংকট তাই গাছটি তাদেরই কেটে নিয়ে যেতে বলে।
আধুনিক ট্রেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. রকেট বলেন, 'এই গাছটি আজকে ছয় দিন এখানে পড়ে আছে। আমার দোকানের একেবারেই সাথে এই গাছটি। এখানে অনেক পথচারী যাওয়া আসা করে, আমাদের অনেক কাস্টমার যাওয়া আছে করে। সব সময় শঙ্কার মধ্যে থাকি কখন জানি গাছটি তার ছিড়ে পড়ে যায় আর বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গাছটি অপসারণের জন্য অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না, তাই শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে আছি।
মেকানিক এরশাদুল বলেন,' এই গাছটা এভাবে পড়ে আছে, আর এভাবেই বিদ্যুৎ সচল আছে। কখন যে তার ছিড়ে গাছটি পড়বে তার কোন ঠিক নেই। এই রাষ্ট্রের কারো কোন দায় নেই, নেই মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা।
জেলা পরিশোধ কুড়িগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরুজুল ইসলাম বলেন, 'অভিযোগটি আমার কাছে এসেছিল। আমি গত পরশুদিন আমাদের সার্ভেয়ারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদেরকে কিছু নিয়ম নীতি আছে। তবে এই গাছটি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে আমরা তাড়াতাড়ি এটা অপসারণের ব্যবস্থা করছি।
রবিউল হাসান