
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের উপর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ মোট ১৪ জন শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন, রিয়াজ, চঞ্চল চৌধুরী, মামুনুর রশীদ, অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী, জায়েদ খান ও ফেরদৌস।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এই অভিযোগটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে এবং মোট ২০১ জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহাসহ ১৫ জন গণমাধ্যমকর্মী, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জন শিক্ষক এবং ইমরান এইচ সরকার ও লাকী আক্তারসহ কয়েকজন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অংশ হিসেবে এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের পথরোধ করে। তখন মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও ছররা গুলি ব্যবহার করে, যাতে ভিকটিমের ডান চোখ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সদস্যরা তাকে মারধর করে।
এর আগে ২০ মার্চ এম এ হাশেম রাজু বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন, এই ঘটনায় আগেই কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কি না, তা জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এজাহার হিসেবে গৃহীত হয়েছে এবং তা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আঁখি